1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেমস বন্ড

৩০ অক্টোবর ২০১২

প্রথম সপ্তাহান্তেই ‘স্কাইফল' যুক্তরাজ্যে যা রোজগার করল, তা এর আগের সব বন্ড ছবিকে ছাড়িয়ে গেছে৷ শুক্রবার ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডে মুক্তি পাবার পর স্কাইফলের টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রায় বিশ মিলিয়ন পাউন্ড৷

https://p.dw.com/p/16ZNm
ছবি: 2012 Sony Pictures Releasing

প্রযোজক মাইকেল জে উইলসন ও বার্বারা ব্রকোলি বলেছেন, তাঁরা অভিভূত৷ তার একটা কারণ, যুক্তরাজ্য হল জেমস বন্ডের স্বদেশ এবং প্রখ্যাত ০০৭ গুপ্তচরের রুপোলি পর্দায় আবির্ভাবের ৫০ বছর পূর্তি হল এ'বছর৷

James Bond Skyfall Premiere
স্কাইফলের টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রায় বিশ মিলিয়ন পাউন্ডছবি: Getty Images

স্কাইফল আবার চলতি বন্ড ড্যানিয়েল ক্রেগ'এর তৃতীয় ছবি৷ যারা গোড়া থেকেই জেমস বন্ড ছবির ভক্ত এবং ব্রিটিশ গুপ্তচরটির সন কনারি থেকে শুরু করে রজার মুর কি পিয়ার্স ব্রসনান অবধি নানা অবতার দেখেছেন, তারাও স্বীকার করেছেন যে, ড্যানিয়েল ক্রেগ'কে জেমস বন্ড হিসেবে সত্যিই মানায়৷

১৯৬২ সালে ‘‘ডক্টর নো'' দিয়ে জেমস বন্ডের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সূচনা৷ তার পর আরো ২২টি ছবি হয়েছে জেমস বন্ড'কে নিয়ে, যার মধ্যে সর্বশেষ হল স্কাইফল৷ গোটা ফ্র্যাঞ্চাইজটি এ'যাবৎ কামিয়েছে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় চার বিলিয়ন ইউরো৷ তবুও, স্কাইফলের মতো এরকম প্রথম সপ্তাহান্তের বক্স অফিস আর কোনো বন্ড ছবি দেখাতে পারেনি৷

Kinopremiere - James Bond Skyfall
স্কাইফল চলতি বন্ড ড্যানিয়েল ক্রেগ'এর তৃতীয় ছবিছবি: dapd

সমালোচকরা বলছেন, স্কাইফল অতি উচ্চদরের এবং উচ্চস্তরের একটি বন্ড ছবি৷ তা'তে অস্কার জয়ী পরিচালক স্যাম মেন্ডেস'এর স্বভাবতই একটা ভূমিকা রয়েছে৷ ছবির সূচনা ইস্তানবুলের বাজারে একটি চমকপ্রদ ‘চেজ' বা ধাওয়া করার দৃশ্য দিয়ে৷ পরে অবশ্য কাহিনি ফিরছে লন্ডনে একটি সন্ত্রাস আক্রমণে৷ ড্যানিয়েল ক্রেগ ছাড়াও বন্ডের ওপরওয়ালা ‘এম'-এর ভূমিকায় রয়েছেন প্রবীণ চরিত্রাভিনেত্রী জুডি ডেঞ্চ৷ খলনায়কের ভূমিকায় এবার পাওয়া যাচ্ছে অস্কার বিজয়ী স্প্যানিশ অভিনেতা খাবিয়ের বার্দেম'কে৷ কিন্তু আসল কথা হল, ২০০৮ সালে ‘‘কোয়ান্টাম অফ সোলেস'' বিশেষ সাফল্য না পাওয়ার পর, স্কাইফল যেন এবার গোটা বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজটাকে আবার পুনরুজ্জীবিত করল৷

Javier Bardem
খলনায়কের ভূমিকায় স্প্যানিশ অভিনেতা খাবিয়ের বার্দেমছবি: dapd

বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজের মজাই হল এই যে, এই ফ্র্যাঞ্চাইজ বস্তুত জেমস বন্ড'কে অমর করেছে৷ যেন বন্ড একটা মজার খেলা যা প্রতি যুগে এবং প্রতি প্রজন্মে নতুন করে খেলা যায়৷ বন্ড'এর সাথে একদিকে প্রযুক্তির, অন্যদিকে বিশ্বরাজনীতির যে সংযোগটা গোড়া থেকেই ছিল, সেটার একটা নবীকরণ, একটা আধুনিকীকরণ ঘটে চলেছে ছবি থেকে ছবিতে৷ তাই ড্যানিয়েল ক্রেগও আজকের যুগের, এই মুহূর্তের জেমস বন্ড৷ তিনি যেন আমাদের যুগ এবং জনমানসকে ধরে রাখছেন জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজের সঙ্গে সঙ্গে৷

এসি / এসবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য