ওপরের মন্তব্যটি করেছেন পুরনো বন্ধু মো.মিাজানুর রহমান৷ তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘সাপ্তাহিক অথবা মাসিক কুইজের আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করছি৷ এখন যেহেতু মোবাইলের মাধ্যমে আপনাদের, তথা সারা বিশ্বের খবর জানা যায়, তাই পুরস্কার হিসেবে ‘স্মার্ট ফোন' দেওয়ার প্রস্তাব করছি৷'' ধন্যবাদান্তে, মো. মিাজানুর রহমান, মশিপুর, শাহাজাদপুর, সিরাজগঞ্জ থেকে৷
- আপনার প্রস্তাব মনে থাকবে, ধন্যবাদ৷ আমাদের ওয়েবসাইটে কিন্তু নিয়মিতই বিজ্ঞান বিষয়ক তথ্য থাকে৷
পরের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন বগুড়া থেকে শাহেদুজ্জামান৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ছোটবেলায় দেখতাম আমার দাদা ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠান শুনতেন, তারপর আমার বাবা আর এখন আমার বাবার হাত ধরে আমি....৷ বংশ পরম্পরায় আজও ডয়চে ভেলের সাথে আছি৷ এখানে একটা কথা বলার লোভ সামলাতে পারছি না, আর তা হলো আমি আমার পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ে (কাজী নজরুল ইসলাম) ‘জার্মান ফুটবল দলের' একমাত্র ডাকসাইটে সমর্থক হিসেবে পরিচিত৷ বলা বাহুল্য, জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের পর কেউ কেউ আমাকে ‘জার্মান' বলেই ডাকে৷
- শাহেদ, আপনাকে ধন্যবাদ৷ আগামীতেও সাথে থাকবেন, কেমন?
উলিয়ান, জামশেদপুর, ঝাড়খন্ড, ভারত থেকে বহু পুরনো বন্ধু চিন্ময় মাহাত লিখেছেন, ‘‘শর্টওয়েভে অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধু হয়ে যাওয়ার পর থেকে আর লেখা হয়ে ওঠেনি৷ তারপর এ বছর বহু ই-মেল পাঠিয়েও উত্তর পাইনি৷ আমার জন্য ১০০টি ‘অনুষ্ঠান সূচি' পাঠাবেন ও অন্যান্য সামগ্রী পাঠাবেন৷''
-
জার্মানদের ভদ্রতা জ্ঞান
ধন্যবাদ দেওয়া
জার্মানরা কথায় কথায় ধন্যবাদ দেন৷ এ অভ্যাস তাঁদের একেবারে ছোট থেকেই গড়ে ওঠে৷ এমনকি ছোট্ট বাচ্চাদেরও যদি কেউ কোনো উপহার বা চকলেট দেয়, তখন তার মা লক্ষ্য রাখেন বাচ্চা ধন্যবাদ দিলো কিনা৷ শিশুটি ধন্যবাদ না দিলে মা মনে করিয়ে দেন, ‘‘সোনামনি, কী....বলতে হয়?’’
-
জার্মানদের ভদ্রতা জ্ঞান
ফুল, চকলেট বা অন্যকিছু
জার্মানিতে কোনো বাড়িতে দাওয়াত বা নিমন্ত্রণ খেতে যাওয়ার সময় অতিথি অবশ্যই কিছু না কিছু সাথে নিয়ে যান৷ কেউ বা আগে থেকে জেনে নেন কী নিলে হোস্টের সুবিধা হয়৷ অন্যথায় ফুল, চকলেট বা অন্য যে কোনো কিছু অবশ্যই সঙ্গে থাকে৷
-
জার্মানদের ভদ্রতা জ্ঞান
ধন্যবাদ দেওয়ার সুন্দর ধরণ
জার্মানরা বাঙালিদের মতো এত রান্নাবান্না না করলেও খেতে, খাওয়াতে এবং হৈচৈ করতে ভালোবাসেন৷ তবে তাঁদের দাওয়াতটা হয় কিছুটা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে৷ দাওয়াত খাওয়ার পর কেউ কার্ড পাঠিয়ে, কেউ বা টেলিফোনে আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানান৷
-
জার্মানদের ভদ্রতা জ্ঞান
খাওয়ার সময় শব্দ না করা
একসাথে টেবিলে খাওয়ার সময় মুখে শব্দ করা জার্মানদের কাছে অভদ্রতার সামিল৷ খাবার চিবানোর সময় কারো মুখে শব্দ হলে, জার্মানরা কপাল কুঁচকে তাকান৷ মুখে কিছু না বললেও এমন ভাব যেন বলছে: শব্দ না করে খাও৷
-
জার্মানদের ভদ্রতা জ্ঞান
প্রতিবেশীদের জানিয়ে রাখা
বাড়িতে বড় কোনো পার্টি বা উৎসবের আয়োজন করা হলে তারা আগে প্রতিবেশীদের জানিয়ে রাখার একটা চল আছে জার্মানিতে, যাতে কেউ বিরক্ত বোধ না করেন৷ জার্মানিতে ছুটির দিন, অর্থাৎ রবিবার এবং যে কোনোদিন রাত ১০টার পর কেউ-ই বেশি শব্দ করেন না৷
-
জার্মানদের ভদ্রতা জ্ঞান
নারীদের সম্মান দেখানো
কোনো নারী গাড়ি থেকে নামার সময় বা তাঁর সামনে দরজা থাকলে, সঙ্গের পুরুষ বন্ধুটি দরজা খুলে দেন৷ বাড়িতে নারী অতিথি এলেও তাঁর ওভারকোটটি খুলতে সাহায্য করে পুরুষরা৷ কেউ এ ধরণের ভদ্রতা না দেখালে, তিনি এ সব রীতি জানেন না বলে ধরে নেওয়া হয়৷
-
জার্মানদের ভদ্রতা জ্ঞান
প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলাপ
গৃহপ্রবেশের পর অনেকেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য ছোটখাটো পার্টি করেন৷ এভাবে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ এই রীতি অবশ্য অফিসেও প্রচলিত৷ কাজে ‘জয়েন’ করার পর টুকটাক খাবার, চা, কফি বা শ্যাম্পেনের সঙ্গে সহকর্মীদের পরিচিন হন অনেকে৷
-
জার্মানদের ভদ্রতা জ্ঞান
সহযাত্রীদের সাহায্য
ধরুন আপনি ট্রামে বা বাসে যাবেন, কিন্তু ‘স্টপেজ’ পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই যানবাহনটি ছেড়ে দিচ্ছে৷ তখন অনেক সময় দেখা যায় যে, অন্য কোনো যাত্রী আপনার দৌড়ানো দেখে ট্রাম বা বাসের দরজা ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন, একেবারে আপনি ওঠা পর্যন্ত৷
-
জার্মানদের ভদ্রতা জ্ঞান
রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না?
আপনি পায়ে হেঁটেই হোক অথবা গাড়িতে থাকুন, কোনো বাড়ির নম্বর বা আপনার গন্তব্যটি খুঁজে পাচ্ছেন না৷ পথচারী কোনো জার্মানকে সেকথা বলতেই তিনি এমন সুন্দর করে আপনাকে রাস্তাটা বুঝিয়ে দেবেন যে, গন্তব্যে পৌঁছতে কোনো সমস্যাই আর হবে না৷
-
জার্মানদের ভদ্রতা জ্ঞান
বাড়ির কাজে সাহায্য
প্রায় প্রতিটি জার্মানই কম-বেশি মেরামতির কাজ জানেন৷ তা পানির পাইপ লাগানো, আলমারি তৈরি অথবা ঘরের লাইট লাগানো হোক ৷ এ সব কাজের জন্য আসলে মিস্ত্রিদের ঘণ্টায় অন্তত ৮০ ইউরো দিতে হয়৷ তাই যাঁরা এ কাজ জানেন না, তাঁদের সাহায্য করতে প্রতিবেশী বা বন্ধু-বান্ধবরা এগিয়ে আসেন৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
- ধন্যবাদ ভাই মাহাত অনেকদিন পর আবার লেখার জন্য৷ অনেকদিন থেকে আমাদের সাথে আপনার আর কোনো যোগাযোগ নেই৷ তবে এ বছর দু-একটি ই-মেল পেয়েছি, যদিও সে লেখাতে আমাদের ওয়েবসাইট বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কিছু লেখা ছিল না, যা আমারা কোনোভাবে কাজে লাগাতে পারতাম৷ আর সেজন্যই হয়ত জবাব দেয়া হয়নি, দুঃখিত৷ আর হ্যাঁ, আগের মতো আর অনুষ্ঠান সূচি বা অন্যান্য কিছু পাঠানো হয় না ডয়চে ভেলের ‘‘শ্রোতা ক্লাবের সদস্যদের'' জন্য৷ শুধু ধাঁধা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য পুরস্কার পাঠানো হয়৷ আপনার কাছে অনুরোধ, আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন প্রতিবেদন ও টিভি অনুষ্ঠান ‘অন্বেষণ' সম্পর্কে মতামত পাঠাবেন আগামীতে, কেমন? আপনি এত বছর পরও যে আমাদের সাথে আছেন, ভাবতে ভালো লাগছে৷ আপনার পরিবারের সকলে কেমন আছেন? সবাইকে আমাদের শুভেচ্ছা দেবেন৷ তাঁরাও যদি আগের মতো আমাদের কাছে লেখেন খুব ভালো লাগবে৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ