1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রেলিয়ায় গ্রেফতারের আগে মাথায় লাথি পুলিশের

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

অ্যামেরিকা, জার্মানির পর এ বার অস্ট্রেলিয়ায় পুলিশের অমানবিক মুখ সামনে এল। গ্রেফতারের আগে মাথায় লাথি মারল পুলিশ।

https://p.dw.com/p/3iTXR
প্রতীকী ছবিছবি: Reeuters/D. Pockett

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় এক মানসিক ভারসাম্যহীনকে গ্রেফতার করার আগে পুলিশের গাড়ি তাঁকে আঘাত করে, তারপর পুলিশ আধিকারিক তাঁর মাথায় লাথি মারেন। ৩২ বছরের সেই ব্যক্তি এখন কোমায় এবং তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে।  পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই ব্যক্তির পরিবার অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে। ভিক্টোরিয়া পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা বিভাগীয় তদন্ত করছে।

মেলবোর্নে গত দুই মাস ধরে কঠোরভাবে লকডাউন চালু করা হয়েছে। পুলিশের হাতে প্রচুর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এমনকী লকডাউন ভেঙে কেউ বেরলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে, প্রয়োজনে গুলিও চালাতে পারে। তবে ওই ব্যক্তি লকডাউন ভাঙেননি। তিনি একটি হাসপাতালে মানসিক সমস্যার চিকিৎসা করাতে গেছিলেন। তিনি হঠাৎ হাসপাতাল ছেড়ে চলে আসায় পুলিশকে ডাকে কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রে সন্তানদের সামনে কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশের গুলি

টিভি চ্যানেল সেভেন নিউজ যে ভিডিও দেখিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাত নাড়তে নাড়তে যাচ্ছেন। তাঁর পিছনে পিছনে পুলিশের গাড়ি যাচ্ছে। তিনি খুব আস্তে আস্তে হাঁটছিলেন। তখন পুলিশের গাড়ি তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। অন্য ভিডিওতে দেখা গেছে, ভদ্রলোক রাস্তায় পড়ে আছেন। তিনি যাতে উঠতে না পারেন, তার জন্য একজন পুলিশ অফিসার মাথায় লাথি মারতে যাচ্ছে। বাকি পাঁচজন অফিসার তাঁকে চেপে ধরে আছে।

ভিক্টোরিয়া পুলিশের বক্তব্য, ওই ব্যক্তি বিচিত্র আচরণ করছিলেন। তিনি এক পুলিশ অফিসারের উপর পেপার স্প্রে করেন। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতার করার আগে ওই ব্যক্তি সহিংস হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। পুলিশের গাড়িও ভাঙার চেষ্টা করেন।

কিন্তু ওই ব্যক্তির পরিবার পুলিশের বক্তব্য মানছে না। তারা জানিয়েছে, ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, এটা অ্যামেরিকা বা বৈরুতের ঘটনা। পুলিশ তাঁর মাথায় লাথি মারছে। তাঁকে মারছে। এটা কী ধরনের ব্যবহার?

জিএইচ/এসজি(বিবিসি)