1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরও ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে চলেছে ক্যানসার

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। আর মাত্র কুড়ি বছরের মধ্যেই বিশ্বের কম ও মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে ক্যানসারের প্রকোপ ৮১ শতাংশ বাড়তে পারে৷

https://p.dw.com/p/3XEu9
ছবি: Colourbox

বিশ্বের ১৩৪টা দেশে অকালে প্রাণ ছিনিয়ে নিচ্ছে ক্যানসার৷ এই প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে জীবন৷ আর কুড়ি বছরের মধ্যে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হতে পারে। কম ও মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে ক্যানসার ৮১ শতাংশ বাড়তে পারে৷ ভারতেও ১০ শতাংশ লোক ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন৷ তখন ভারতে প্রতি ১৫ জনের মধ্যে একজন এই রোগে মারা যাবেন৷ অন্য দিকে, বাংলাদেশেও ক্যানসারের প্রভাব বাড়ছে। ২০১৮ সালে নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে এক লক্ষেরও বেশি।

মঙ্গলবার ছিল বিশ্ব ক্যানসার দিবস। সেই উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  দুইটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে৷ সেখান থেকেই বেরিয়ে এসেছে ক্যানসার নিয়ে ভয়াবহ ভবিষ্যতের আশঙ্কা৷ তবে এর মধ্যে আশার বিষয় হল, যদি আগামী দশ বছরে ২৫০০ কোটি ডলার ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য খরচ করা যায়, তা হলে ৭০ লক্ষ লোকের জীবন বাঁচানো সম্ভব৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, যদি লোকের কাছে প্রথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়ের উপায় থাকে, তা হলে পরিস্থিতি বদলে যাবে৷ তখন প্রথম পর্যায়ে ক্যানসার চিহ্নিত করা সম্ভব হবে, চিকিৎসা হবে এবং রোগ সেরে যাবে৷ তাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে লোকের ও সরকারের সজাগ হওয়ার সময় এসেছে৷ অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে৷

রিপোর্ট বলছে, ধূমপানের ফলে ২০১৮ সালে ২১ লাখ লোক নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৮ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে৷ যে সব দেশে ছেলে ও মেয়েরা ধূমপান করে থাকেন, সেখানে ফুসফুসের ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা হল ৯০ শতাংশ৷ যুক্তরাজ্য, অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার মতো দেশে যেখানে ধূমপানের প্রবণতা কমেছে, সেখানে ফুসফুসে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে৷

বিশ্বজুড়ে সবথেকে বেশি মহিলা আক্রান্ত হচ্ছেন স্তনের ক্যানসারে৷ ২০১৮তে ২১ লাখ মহিলা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন, ৬ লাখ ২৭ হাজার মহিলার এই রোগে মৃত্যু হয়েছে৷

রিপোর্ট বলছে, ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হল তামাক৷ ধূমপান তো বটেই, তার সঙ্গে অন্য সব ধরনের তামাকজাত জিনিস সেবন ও খাওয়ার প্রবণতা৷ সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা কম ও মাঝারি আয়ের দেশে বেশি৷ বিশ্বের ৮০ শতাংশ ধূমপায়ী এই সব দেশে বাস করেন৷ উন্নত ও বেশি আয়ের দেশে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা কমেছে। কিন্তু তার থেকে বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রবণতা যথেষ্ট পরিমাণে আছে৷ শুধু সিগারেট নয় অত্যাধিক মদ্যপানের জন্যও এই ঘাতক রোগ হতে পারে৷ এ ছাড়া অতি বেগুনি রশ্মির প্রাধান্য, খাদ্যাভ্যাস ঠিক না হওয়াও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট থেকে পরিস্কার, জীবনশৈলীর বদল করা দরকার৷  

ভারতেও ২০১৮তে ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন৷ ৭ লাখ ৮৪ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে এই রোগের কারণে৷

জিএইচ/এসজি(বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট)