1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে কড়াকড়ি বাড়ছে

২৮ আগস্ট ২০২০

বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা করোনা সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন৷ বিদেশ-ফেরত মানুষের উপর কড়াকড়ি এবং মাস্ক না পরলে জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3hcSH
১৪ আগস্ট তোলা ছবিতে কোলন শহরের একটি বিয়ার গার্ডেন দেখা যাচ্ছেছবি: picture-alliance/NurPhoto/Y. Tang

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সাফল্য যে চিরস্থায়ী হয় না, নিউজিল্যান্ডের মতো অনেক দেশের ক্ষেত্রে তা প্রমাণিত হচ্ছে৷ জার্মানিও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে এতকাল করোনা সংকট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে৷ তবে বেড়ে চলা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে আবার কড়াকড়ি বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন ফেডারেল ও রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতারা৷ বৃহস্পতিবার দীর্ঘ বৈঠকের পর জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এমনই পূর্বাভাষ দিলেন৷ তবে নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করে সব ক্ষেত্রে গোটা দেশজুড়ে একই পদক্ষেপ চালু করতে ব্যর্থ হলেন তাঁরা৷

যেসব বিষয়ে উপস্থিত নেতারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, তার মধ্যে বিদেশ ফেরত মানুষের করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় পর্যটনের কারণে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণবাড়ায় বাধ্যতামূলক পরীক্ষা ছাড়াও কোয়ারেন্টাইনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ দেশে প্রবেশের পর বিচ্ছিন্ন থাকার পাঁচ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার নেতিবাচক ফল হলে তবেই প্রকাশ্যে বের হওয়া যাবে৷ জেনেশুনে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভ্রমণ করলে সরকার ভবিষ্যতে কোনো ক্ষতিপূরণ দেবে না৷ এমন সব যাত্রী ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুবিধাও নিতে পারবেন না৷ খুঁটিনাটি বিষয়গুলির নিষ্পত্তির পর সম্ভবত ১লা অক্টোবর থেকে নতুন পদক্ষেপগুলি কার্যকর করা হবে৷

গণপরিবহণ, হোটেল-রেস্তোরাঁ ইত্যাদি বদ্ধ জায়গায় নিয়ম মেনে মাস্ক না পরলে কমপক্ষে ৫০ ইউরো জরিমানা চালু করা হচ্ছে৷ পূবের স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্য ছাড়া গোটা দেশে এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে৷ ফুটবল ম্যাচ ও অন্যান্য বড় অনুষ্ঠানে দর্শক সমাগম বছরের শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ রাখা হবে৷

আলোচনার শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যার্কেল বলেন, গ্রীষ্মকাল জুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি সংক্রমণ বাড়ার দুইটি প্রধান কারণ তুলে ধরেন৷ বিদেশ ফেরত মানুষ ছাড়াও ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্তরে অতিথি সমাগমকেও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেন৷ তিনি বদ্ধ জায়গায় সর্বোচ্চ ২৫ জন ও খোলা জায়গায় সর্বোচ্চ ৫০ জনের সমাগমের প্রস্তাব দিলেও সে বিষয়ে ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি৷ ম্যার্কেল দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে সম্ভব হলে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে না যাবার আবেদন করেন৷ বাভেরিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার বলেন, ‘‘করোনা জার্মানিতে ফিরে এসেছে এবং আমাদের সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে৷’’ মাস্ক পরার নিয়ম প্রথমবার লঙ্ঘন করলে তিনি নিজের রাজ্যে ২৫০ ইউরো জরিমানা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

আসন্ন হেমন্ত কালের আগে কড়াকড়ি কার্যকর করে করোনা ভাইরাসের ‘দ্বিতীয় ঢেউ' প্রতিরোধ করতে জার্মানি৷ সেটা সম্ভব না হলে আবার নতুন করে লকডাউনের মতো কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে বলে আশঙ্কা বাড়ছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য