1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট নীতির সমালোচনা

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)১৩ জুলাই ২০১৮

ব্রিটেন সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট ট্রাম্প কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের প্রতি আবার সমর্থন জানালেন৷ তাঁর মতে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান ব্রেক্সিট নীতির ফলে অ্যামেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে৷

https://p.dw.com/p/31N6p
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে
ছবি: Reuters/L. Marin

অতিথি হিসেবে এসে গৃহকর্তার প্রকাশ্য সমালোচনার দৃষ্টান্ত সহজে দেখা যায় না৷ কিন্তু শিষ্টাচার ভাঙার ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন আচরণে অভ্যস্ত৷ ব্রিটেন সফরে গিয়ে তিনি সরাসরি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে'র ব্রেক্সিট সংক্রান্ত নীতির কড়া সমালোচনা করলেন৷ প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রাখার যে প্রচেষ্টা শুরু করেছেন, তার ফলে অ্যামেরিকার মতো দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

ব্রেক্সিট নিয়ে এমনিতেই ঘরে-বাইরে কোণঠাসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ দুই কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি মন্ত্রীর পদত্যাগের পর তিনি সবে ঘর গোছানোর চেষ্টা শুরু করেছেন৷ তারই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য তাঁর অবস্থানকে আরও দুর্বল করে তুলবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ব্রিটেনের ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র ‘সান'-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করে জনসাধারণের একটা বড় অংশের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারলেন৷ ট্রাম্প আরও বলেন, ব্রিটেন শেষ পর্যন্ত ইইউ'র সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখলে মার্কিন প্রশাসন ব্রিটেনের বদলে ইইউ'র সঙ্গেই সংলাপ চালাবে৷ তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলে ইইউ'র সঙ্গে আলোচনা ভেঙে দেবার হুমকি দিয়ে ছাড় আদায় করার চেষ্টা করতেন৷ ট্রাম্প দাবি করেন, টেরেসা মে তাঁর সেই পরামর্শ মেনে চলেননি৷ প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার পাশাপাশি ট্রাম্প তাঁর প্রতিপক্ষ বরিস জনসন সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করে বলেন, প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিটেনের ‘দারুণ' প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন৷

শুক্রবার ট্রাম্প ও মে মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হচ্ছেন৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি৷ এর আগে টেরেসা মে বলেছিলেন, ইইউ'র সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে তাঁর পরিকল্পনার ফলে অ্যামেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির প্রচেষ্টার কোনো ক্ষতি হবে না বলে তাঁর বিশ্বাস৷ তিনি অ্যামেরিকা ও ব্রিটেনের নিবিড় সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের গুরুত্বও তুলে ধরেন৷

তবে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের মতে, শেষ পর্যন্ত ইইউ তাঁর প্রস্তাব মেনে পণ্য বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একক বাজারে ব্রিটেনকে রেখে দিলে সে দেশকে ইইউ'র যাবতীয় বিধিনিয়ম মেনে চলতে হবে৷ তাই তাঁরা এই নীতিকে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে তুলে ধরছেন৷

শুক্রবার ট্রাম্প রানি এলিজাবেথের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন৷ এ দিন লন্ডনে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ আয়োজন করা হচ্ছে৷ তারপর স্কটল্যান্ডে ব্যক্তিগত গল্ফ কোর্সে সপ্তাহান্ত কাটাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ তারপর ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য