1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির সরকার বিপাকে

১৬ অক্টোবর ২০১৮

জার্মানির বাভেরিয়া রাজ্যে নির্বাচনে ফেডারেল সরকারের শরিক দলগুলির খারাপ ফলাফল নেতাদের প্রতি মানুষের আস্থার অভাবের প্রতিফলন বলে মনে করেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ অন্য দুই দলও ফলাফল বিশ্লেষণ করছে৷

https://p.dw.com/p/36bI2
বাভেরিয়ার নির্বাচনের বিশ্লেষণ করলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: Reuters/F. Bensch

জার্মানির সরকারের তিন শরিক দলই রবিবার বাভেরিয়া রাজ্যের নির্বাচনের ধাক্কা হজম করতে ব্যস্ত৷ তবে এখনই তার দায় কোনো নেতার উপর চাপানো হচ্ছে না, পদত্যাগ বা অপসারণের ডাকও তেমন জোরালো হয়ে ওঠেনি৷ আগামী ২৮শে অক্টোবর হেসে রাজ্যের নির্বাচনের আগে তার সম্ভাবনাও দেখছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷ কিন্তু সেই নির্বাচনেও যদি সরকারের শরিক দলগুলি খারাপ ফল করে, তখন ব্যাপক পরিবর্তন এড়ানো কঠিন হবে৷ এমনকি সে ক্ষেত্রে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মহাজোট সরকারে ভাঙনের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

বর্তমান পরিস্থিতির ম্যার্কেল নিজে প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট ভাষায় এমন বিপর্যয়ের কারণ বিশ্লেষণ করেছেন৷ সোমবার তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন জোট সরকারকে আবার ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে হবে৷ তাঁর মতে, অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা যতই ভালো হোক না কেন, বাভেরিয়ায় প্রায় সবার কর্মসংস্থান সম্ভব হওয়া সত্ত্বেও মানুষের কাছে তা যথেষ্ট নয়৷ তারা ক্ষমতাসীন নেতাদের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন৷ গত ১২ মাসের দিকে ফিরে তাকালে স্বীকার করতে হবে যে, সেই আস্থা অনেক অংশেই হারিয়ে গেছে৷ সরকার গঠনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও তার পরের অনেক ঘটনার ফলে মানুষ আস্থা হারিয়েছেন বলে মনে করেন ম্যার্কেল৷

বাভেরিার নির্বাচনে সিএসইউ দলের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল ও জোট সরকারের ভাবমূর্তির অবনতির জন্য যে নেতাকে দায়ী করা হচ্ছে, সেই হর্স্ট সেহোফার এখনো পদত্যাগের কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছেন না৷ তবে এই প্রথম তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেছেন৷ শরণার্থী নীতিকে কেন্দ্র করে সরকারের বাকি শরিকদের সঙ্গে তিনি যে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছিলেন, তা ভোটারদের চরম বিরক্তির কারণ হয়েছে বলে সেহোফার মেনে নিয়েছেন৷ এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি অবশ্য নিজের কড়া শরণার্থী নীতির বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো সংশয় প্রকাশ করেননি৷ তাঁর মতে, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাভেরিয়ায় স্থিতিশীল জোট সরকার গঠন করাই আপাতত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হবে৷ অভ্যন্তরীণ বিতর্ক সেই প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাক, তিনি তা চান না৷

সরকারের তৃতীয় শরিক এসপিডি দল কোনো রাজ্য নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফলাফলের বিশ্লেষণ করছে৷ দলের উপ প্রধান রাল্ফ স্টেগনার বলেন, এই সরকারকে টিকে থাকতে হলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে৷ তাঁর মতে, বাভেরিয়া রাজ্য নির্বাচনের ফলাফল বার্লিনের মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক রায়ের প্রতিফলন৷ উল্লেখ্য, হেসে রাজ্যেও এসপিডি দল খারাপ ফল করলে দলের মধ্যে মহাজোট ত্যাগ করার জন্য চাপ বাড়বে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তবে সাম্প্রতিক কালে ঘনঘন নেতা বদলের পর এখনই শীর্ষ নেতা আন্দ্রেয়া নালেস-এর অপসারণের কোনো ডাক আপাতত দলের মধ্যে শোনা যাচ্ছে না৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)