এ মন্তব্য নওগাঁর বন্ধু দেওয়ান রফিকুল ইসলাম রানার৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘সংবাদভাষ্য ‘শুধুমাত্র নারীদের ভালোর জন্য...' থেকে অনেক তথ্য পেলাম৷ সেখানে ‘নারীদের মোবাইল ব্যবহার ভালো নয়' – এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা ছিল৷ অনেক ধন্যবাদ মজার মজার ও সুন্দর তথ্য দিয়ে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্য৷ তথ্যগুলো আমার কাজে আসবে৷ বাড়িতে বিদ্যুত্ ছিল না, তাই ‘অন্বেষণ' দেখতে পারিনি৷''
পরে ই-মেলটি পাঠিয়েছেন পাঠক তারেক মুহাম্মদ৷ তিনি মতামত জানিয়েছেন এভাবে: ‘‘জার্মানদের কাছে চায়ের কদর – শীর্ষক লেখাটি পড়ে অত্যন্ত ভালো লাগলো৷ জানলাম উপ-মহাদেশের পাশাপাশি জার্মানদেরও চায়ের প্রতি আকর্ষণ কম নয়৷ মূলত চা একটি সার্বজনীন প্রিয় পানীয়৷ ভারতে বিভিন্ন রকম চায়ের চাহিদা রয়েছে৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
নিজের মতো করে খাওয়া
খাবার টেবিলে বসে সুন্দর করে খাওয়াটাও যে আসলে শিখতে হয় তা বোঝা যায় যখন পাশে বা কাছাকাছি কেউ খুব এলোমেলোভাবে, শব্দ বা তাড়াহুড়ো করে খায় তখন৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
জার্মানদের খাবার টেবিল
ছবিতে দেখুন জার্মানদের খাবার টেবিল৷ তবে এটা প্রতিদিনের খাবার টেবিল নয়, একটি অনুষ্ঠানের জন্য টেবিলটি সাজানো হয়েছে৷ কাঁটাচামচ, টেবিল চামচ, ছুরি, চায়ের চামচ – এ সব কি সুন্দরভাবে সাজানো রয়েছে প্লেটের তিন দিকে৷ তাই না? কোন চামচ দিয়ে কী খেতে হয়, যেমন জার্মানিতে ডান হাতে ছুরি আর বাঁ হাতে কাঁটাচামচ ধরা হয় – তাই ঠিক সেভাবেই রাখা হয়েছে এ টেবিলে৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
শব্দ না করে খাওয়া
খাবার টেবিলে ঠিকঠাক মতো ছুরি-কাঁটা দিয়ে খাওয়া জার্মানদের ভদ্রতার মধ্যেই পরে৷ এছাড়া মুখ দিয়ে শব্দ করে খাওয়া, ছুরি-কাঁটা ঠিক মতো ধরতে না পারা, চামচের শব্দ বেশি জোরে করা – এ সবই জার্মানদের কাছে অভদ্রতা বলে গণ্য হয়৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা
জার্মানিতে বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকে ছুরি-কাঁটাচামচ দিয়ে খাওয়া শেখানো হয়৷ তবে ছোট বাচ্চারা অনেক সময় শুধু চামচ দিয়ে খেতেই ভালোবাসে৷ হোক তা নিজের ঘর বা আকাশে উড়ন্ত অবস্থায়৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
এই প্রজন্মের জার্মানরা
বর্তমান যুগের ছেলে-মেয়েরা এ সব ব্যাপারে অনেকটাই শিথিল, অর্থাৎ পিৎসা, আলু ইত্যাদির মতো ‘ফিঙার ফুড’ হাত দিয়ে খেতেই ভালোবাসে তারা৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
চাইনিজ
ইউরোপ-অ্যামেরিকায় খাওয়ার সময় সাধারণত সকলেই কাঁটাচামচ, ছুরি অথবা টেবলচামচ ব্যবহার করে থাকে৷ তবে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে চামচ, চপস্টিক্স বা কাঠি অথবা শুধু হাত দিয়ে খাওয়ার চল আছে৷ চীনারা খেয়ে থাকে চপস্টিক্স বা চিকন দুটো কাঠি আঙুল দিয়ে ধরে৷ কাঠি দিয়ে তুলতে সুবিধার জন্য থালায় নয়, বাটিতে খেয়ে থাকেন তাঁরা৷ অন্যদের কাছে খাওয়ার এ রীতিকে হয়ত শিল্প বলেই মনে হবে৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
জাপানিজ
জাপানিরাও খাওয়ার সময় কাঠি ব্যবহার করেন৷ জাপানিদের বিশেষ খাবার ‘সুশি’ অবশ্য চাইনিজ খাবারের তুলনায় সহজেই চপস্টিক্স দিয়ে খাওয়া যায়৷ দেখলে অন্তত এমনটাই মনে হয়!
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
ভাতে মাছে বাঙালি
বাঙালিদের কাছে ভাত-মাছ খেতে হাত ব্যবহার না করলে মনে হয় যেন খাওয়াই হলো না, তাই না? সেকথা আর বাঙালিদের কাছে ঘটা করে বলা কিছু নেই৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
আফ্রিকাতেও হাত দিয়ে খাওয়া
আফ্রিকার দেশগুলোতেও কিন্তু বাঙালি বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতের অন্যান্য কিছু অঞ্চলের মতো হাত দিয়ে খাওয়ার চল আছে৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
একসাথে বসে খাওয়া
একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করার মজা কিন্তু আলাদা৷ ছবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে একটি অনুষ্ঠানে সবাই মিলে রোদে বসে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছেন দেখুন৷ কেমন মজা, তাই না?
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
ইউরোপের অন্যন্য দেশের মানুষ
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের মানুষই ছুরি, কাঁটাচামচ দিয়ে খান৷ তবে তুর্কিরা শুধু চামচ দিয়ে খেতেই পছন্দ করেন৷ তাঁদের খাবার অনেকটা বাঙালিদের মতো – টুকরো টুকরো করা মাছ, মাংস, সবজি সাথে ভাত বা নান-রুটি, যা এক হাতেই খাওয়া সম্ভব৷ ছবিটি জার্মানিতে একটি ইফতার পার্টির৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
হাত দিয়ে খাচ্ছেন বিদেশিরাও
প্রয়োজনে জার্মানরাও হাত দিয়ে খেতে পারেন৷ ভারতে কর্মরত এক জার্মান বললেন, ‘‘জার্মানিতে আমি ডান হাতে ছুরি আর বাঁ হাতে কাঁটাচামচ দিয়ে খেতাম, তবে বাঁ হাত ব্যবহার না করে একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু শুধু ডান হাত দিয়েও মানুষ সুন্দর করে গুছিয়ে খেতে পারে৷’’
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চা পান করার বিভিন্ন সময় থাকলেও, বাংলাদেশে এই চিত্রটা একদম ভিন্ন৷
এদেশে চা পানের জন্য সময় কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়৷ আড্ডা, গল্প, রাজনীতি নিয়ে আলোচনা, পড়াশোনা, বাজার – আরে কোথায় নেই চা! বাংলাদেশিরা চা খুব কমই ঘরে পান করে৷ এ দেশে চা মানেই বাইরে কোথাও৷ ঘরে চা একা পান করার চেয়ে বাইরে রাস্তার পাশের টং-এ (চা বিস্কুটের ছোট দোকান) বন্ধুদের সাথে ‘জম্পেস' এক আড্ডা দিয়ে
এক কাপ চা পান করার ‘লেভেলটাই' অন্যরকম৷ যাই হোক, চা নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে৷ বাংলাদেশে চা পানের যে ঐতিহ্য তা অবশ্যই উল্লেখ করার মতো৷ এদেশে চা পানের যে রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য – তা বিশ্বের দরবারে আপনাদের মাধ্যমে একটি স্থান দখল করুক৷ বাংলাদেশের চা পানের সংস্কৃতি যেন উঠে আসে আপনাদের লেখনিতে৷ আমরা যেন বলতে পারি – ‘হাম কিসিসে কাম নেহি'৷''
- নিজেদের মতামত সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য দু'জনকেই ধন্যবাদ৷ পাঠক বন্ধুদের ভালো-মন্দ লাগার কথা জানালেই কেবল ডয়চে ভেলে আগামীতে আরো সুন্দর ও তথ্যবহুল ওয়েবসাইট সাজাতে পারবে৷ হ্যাঁ বন্ধুরা, সমালোচনা করতেও কিন্তু দ্বিধা করবেন না! প্রিয় বন্ধুরা, ভালো থাকুন আর ডিডাব্লিউ-র সাথে থাকুন – এই আমাদের প্রত্যাশা৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ