সঠিক উত্তর: গার্ট্রুড ক্লিমেন্ট৷ এবারের বিজয়ী হয়েছেন ফ্ল্যাট ২০১, হাউস ২২, রোড ১১২, গুলশান, ঢাকা ১২১২-এর বন্ধু এনামুল হক৷
প্রিয় এনামুল হক, আপনাকে অভিনন্দন! আপনার পুরস্কার পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷ বিজয়ী বন্ধুদের কাছে বিশেষ অনুরোধ: পুরস্কার পেতে দেরি হচ্ছে বা পুরস্কার হাতে না পাওয়া অভিযোগ যাঁদের, তাঁরা সবসময় নামের সাথে নিজেদের পোস্টাল অ্যাড্রেসটিও সাথে লিখবেন, কেমন?
কুইজ প্রতিযোগিতায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷ আর বন্ধুদের সবার কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনাদের বন্ধুদেরও এই প্রতিযোগিতার কথা জানাবেন৷ জানাবেন ডয়চে ভেলের টেলিভিশন অনুষ্ঠান অন্বেষণ এবং ওয়েবসাইটের কথা৷ অন্বেষণ অনুষ্ঠানের হ্যাশট্যাগও রয়েছে৷ বাংলায় #অন্বেষণ আর ইংরেজিতে #onneshon লিখে ফেসবুক, টুইটারে মন্তব্য করা যাবে৷
ডয়চে ভেলের সকল বন্ধুদের জন্য রইলো শুভেচ্ছা৷
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
কী ভয়ঙ্কর!
পুরনো একটি গাড়ির চাকায় হাওয়া ভরে ছোট্ট দুই শিশু পানির ওপরে ভেসে যাচ্ছে৷ চাকার মধ্যে জড়ো হয়ে বসে এভাবেই তারা প্রতিদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে৷ এতে স্কুলের ইউনিফর্ম যতই ভিজুক না কেন, রাতের মধ্যে তা শুকাতেই হবে৷ কারণ পরেরদিন সকালে যে আবার ঐ পোশাকই ওদের পরতে হবে!
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
৮০০ মিটার উঁচু খাড়া পাহাড় পেরিয়ে স্কুলে...
চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান জেলার একটি পাহাড়ি গ্রাম আটুলের৷ সেখানকার এই রাস্তাটাই হচ্ছে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম পথ৷ প্রতিদিন ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের এই পথ দিয়ে পাহাড়ে উঠে বহু কষ্টে যেমন করে স্কুলে যেতে হয়, তেমনি ফিরতেও হয় ঐ একই পথ ধরে৷
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
নীচে তাকালেই যে বিপদ!
ঝুলন্ত দড়ির মই বেয়ে প্রতিদিন ৯০ মিনিট ধরে স্কুলে যেতে হয় এই শিশুদের৷ শিশুদের জন্য এভাবে পথ চলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ৷ এর জন্য এ অঞ্চলে আগে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে, মারাও গেছে অনেকে৷ তবে আশার কথা, এতদিনে সিচুয়ান প্রদেশের টনক নড়েছে৷ শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই এখানে একটি পাতের সিঁড়ি তৈরি করা হবে৷
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
কাঠের রাস্তা
দক্ষিণ চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াংশির একটি গ্রামের শিশুদের স্কুলে যাওয়ার জন্য রোজ নংইয়ং পর্যন্ত যেতে হয়৷ এর জন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কাঠের সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ে উঠতে হয় তাদের৷ শুধু তাই নয়, কাঠের এই সিঁড়িগুলোতে কোনো রেলিং পর্যন্ত নেই!
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
তারের সেতু
ইন্দোনেশিয়ার লেবাক অঞ্চলের শিশুদের স্কুলে যেতে হলে একসময় তারের এই ঝুলন্ত সেতুটির ওপর দিয়ে যেতে হতো৷ নীচেই নদী, তাই এ পথও ছিল যথেষ্ট দুর্গম৷ এখন অবশ্য এখানে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে৷
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
ভেলায় চড়ে স্কুলে যাওয়া
শুনলেই রোমাঞ্চকর মনে হতে পারে৷ কিন্তু ফিলিপাইন্সের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের এমনটা প্রতিদিন করতে হয় প্রয়োজনে, সাধ করে নয়৷ হ্যাঁ, গ্রাম থেকে রিজাল প্রদেশে যেতে ভেলায় চড়ে রোজ নদী পার হতে হয় তাদের৷ সেখানেই রয়েছে এলাকার একমাত্র স্কুলটি৷ তাই লাখো শিশু এভাবেই ভেসে ভেসে স্কুলে যায় প্রতিদিন৷
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
শিক্ষার আলো পেতে পাহাড়ে ওঠো!
মরক্কোয় স্কুলে যাওার এই রাস্তাটা চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান জেলার মতো এতটা ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও, কষ্টকর বটে৷ জাহিরা নামের ছোট্ট এই মেয়েটিকে স্কুলে যাতায়াতের জন্য প্রতিদিনই অন্তত চার ঘণ্টা পাথর বিছানো এই উঁচু-নীচু পথে হাঁটতে হয়, তাও আবার দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার৷
লেখক: মাইকে ভেরলাট/ এনএস