নিরাপদ সড়কের দাবি রসিকতার সাথে মেনে নিয়েছে সরকার! ছাত্রলীগ মুক্ত বাংলাদেশ চাই৷ আন্দলোন সফল হবে ইনশা আল্লাহ্৷ এছাড়াও ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় নিরাপদ সড়ক ইস্যুতে নৌ-মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিসহ নানা মন্তব্য করেছেন অসংখ্য পাঠক৷
নিরাপদ সড়কের দাবি রসিকতার সাথে মেনে নিয়েছে সরকার! – এমনটাই মনে করেন পাঠক মঈনুল হাসান৷ অন্যদিকে পাঠক নীল মনে করেন, নৌ-মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং সরকার সবগুলো পদক্ষেপ খুব দ্রুত কার্যকর না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া উচিত৷
সাদিয়া চৌধুরী মুমু সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য৷
পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের কারণে অনেক ছাত্র এখন আহত৷ ওদের সাহায্য প্রয়োজন৷ এই অনুরোধ সাদ্দাম হোসেন, মাওরান চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম অনিক, অলি সরকার, জেরিন মারুফ, নোমান, নোমান শামীমের৷
-
কী ঘটেছিল ৫ আগস্ট?
আগের দিনের হামলার প্রতিবাদ
ধানমন্ডিতে ৪ আগস্টের হামলার প্রতিবাদে পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দু’টি মানববন্ধন কর্মসূচি দেয়া হয়৷ মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন৷
-
কী ঘটেছিল ৫ আগস্ট?
জিগাতলা যাওয়ার সিদ্ধান্ত
শাহবাগ থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জিগাতলা মোড়ের দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷
-
কী ঘটেছিল ৫ আগস্ট?
জিগাতলার উদ্দেশে মিছিল
দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব হয়ে জিগাতলার দিকে মিছিল নিয়ে এগোয়৷ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ জিগাতলা মোড়ে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সামনে দিয়ে ফিরছিল, অন্য অংশটি দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশের মুখোমুখি৷ আন্দোলনকারীরা পুলিশের উদ্দেশে চিৎকার করছিল৷
-
কী ঘটেছিল ৫ আগস্ট?
টিয়ার শেল
এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়তে শুরু করে৷ শিক্ষার্থীরাও দূর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে ও টিয়ার শেলের ধোঁয়া থেকে রক্ষা পেতে আগুন জ্বালায়৷
-
কী ঘটেছিল ৫ আগস্ট?
লাঠিসোঁটা হাতে ওরা কারা
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, টিয়ারশেল থেকে বাঁচতে ধানমন্ডি লেকের পাশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের একাংশ বেরিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে যুবকেরা শিক্ষার্থীদের তাড়া দেয়৷ একই সময়ে ঢাকা কলেজ থেকে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়৷ এ সময় অনেকেই রক্তাক্ত হন৷
-
কী ঘটেছিল ৫ আগস্ট?
সায়েন্স ল্যাবরেটরিতেও টিয়ারশেল
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগ হাজির হলে বেলা দেড়টার পর পুলিশ সায়েন্স ল্যাবরেটরির দিক থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া শুরু করে৷ তারপরই লাঠিসোঁটা, রড, পাইপ, রামদা হাতে মাথায় হেলমেট পরা একদল যুবক শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে কাঁটাবনের দিকে তাড়িয়ে দেন৷ ধাওয়ার সময় তাঁরা কয়েকজনকে মারধর করেন৷
-
কী ঘটেছিল ৫ আগস্ট?
সাংবাদিকদের ওপর হামলা
সাংবাদিকেরা যখন আহতদের ছবি তুলছিলেন, তখন অতর্কিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে তাঁদের শাসান৷ পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে বলেন, সাংবাদিকদের কেউ যদি ছবি তোলেন তাহলে সবাই ‘রক্তাক্ত’ হবেন৷ ছবি তুলতে গিয়ে মারধরের শিকার হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক৷ তাদের ক্যামেরাও ভেঙ্গে ফেলা হয়৷
-
কী ঘটেছিল ৫ আগস্ট?
পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ
হেলমেট পড়া, রাম দা, কিরিচ, লাঠি, রড হাতে যুবকরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করলেও সে সময় পুলিশ ছিল নীরব৷ তাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে পুলিশের ভূমিকা৷
-
কী ঘটেছিল ৫ আগস্ট?
ন্যায়বিচার চাই
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবিতে রাস্তায় নামা শিক্ষার্থীদের ওপর বার বার হামলার পর দাবি পরিবর্তিত হয়ে স্লোগান হয়ে ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বা ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’৷
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে সঠিক আইন ও আইন প্রয়োগের দাবি করেছেন শাহীন নোমান৷
ইসরাত জাহান ঝিনুক অবশ্য দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘কিশোর-কিশোরীরা বাস ড্রাইভারদের লাইসেন্স চেক করছে৷ অথচ এই কাজটা যাদের করার কথা ছিল, তারা এই ছেলে-পেলেগুলোকে পেটাচ্ছে৷''
‘‘সরকার তো সব কিছুই মেনে নেয়,কিন্তু বাস্তবায়ন তো কোনোকিছুরই হয় না৷'' – মন্তব্য ইমরুল কায়েসের৷
‘‘আমরা শান্তি চাই, সেটা যে কারও পদত্যাগের বিনিময়েই হোক না কেন সমস্যা নাই৷'' এ মন্তব্য পাঠক মো. বিপ্লবের৷
ক'দিন ধরে পোলাপান ছাত্রদের কার্যকলাপ দেখতেছি...৷ এরই মধ্যে সেজুতি নামের একটি মেয়ের পোস্ট আমারে স্ট্যাচু বানায় দিলো৷ ৪৭ বছরেও কেউ এ রকম বলতে পারেনি, যা সেজুতি বলেছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী, আপনাকেও ২০ লাখ টাকা দিয়ে দেই, বাবা হারানোর শোক ভুলে যান৷'' লিখেছেন ডয়চে ভেলের পাঠক
সালেহ উদ্দিন ৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবরতি গুহ
-
জার্মানিতেও প্রতিবাদ
মিউনিখ
জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের রাজধানী মিউনিখেও সমাবেশ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা৷ দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর যেন অত্যাচার যেন না হয় সেই দাবি জানান তাঁরা৷
-
জার্মানিতেও প্রতিবাদ
কেমনিৎস
জার্মানির কেমনিৎস শহরে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা জড়ো হন৷ সেখানে তাঁরা বাংলাদেশে চলমান নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানান৷
-
জার্মানিতেও প্রতিবাদ
ড্রেসডেন
জার্মানির পূর্বাংশে স্যাক্সনি রাজ্যের রাজধানী ড্রেসডেনেও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পরিবহণ খাতকে দূর্নীতিমুক্ত করার দাবি জানান৷
-
জার্মানিতেও প্রতিবাদ
মাগডেবুর্গ
জার্মানির পূর্বাংশের আরেক রাজ্য স্যাক্সনি আনহাল্টের শহর মাগডেবুর্গে জড়ো হওয়া অভিবাসীরা বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়েছেন৷ চেয়েছেন ন্যায়বিচার৷
-
জার্মানিতেও প্রতিবাদ
ফ্রাংকফুর্ট
নিরাপদ সড়ক চাই, স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই, এই দাবিতে জার্মানির বাণিজ্য নগরী ফ্রাংকফুর্টে জড়ো হন বাংলাদেশি অভিবাসীরা৷
-
জার্মানিতেও প্রতিবাদ
নিডাররাইন
নেদারল্যান্ডস সীমান্তের কাছে রাইনের নিম্নাঞ্চলের শহর নিডাররাইনেও পতাকা ও প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছেন অভিবাসী বাংলাদেশিরা৷ ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি ছিল তাঁদের৷
-
জার্মানিতেও প্রতিবাদ
বন
নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের আরেক শহর, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজধানী, বনেও জড়ো হন বাংলাদেশি অভিবাসীরা৷ শহরের কেন্দ্রে তাঁদের এই মানববন্ধনে যোগ দেন কয়েকজন জার্মান শিক্ষার্থীও৷ বাংলাদেশে ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা৷