আশফাকুজ্জামান চৌধুরী ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি৷ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তথাকথিত প্রগতিশীলরা লোক পায় না তাদের বদ অভ্যাসের কারণে৷''
আর নাসিমুল হক বলছেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে একমত৷ পাশাপাশি সকল ধর্মের অনুসারীদের আন্তরিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এবং সুক্ষ্ম বাউন্ডারিগুলোকে চিহ্নিত করে অক্ষত রাখতে হবে৷ তথাকথিত প্রগতিশীলরা এই বাউন্ডারি ভেঙে উল্টো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, যা শক্তহাতে দমন করতে হবে।''
‘‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়৷ ধর্ম অস্বীকার মানেই মুক্তচিন্তা ও আধুনিক হয়ে গেলাম– এটি ঠিক নয়৷ প্রগতিশীল মানেই ধর্মকে অস্বীকার করা– এ কেমন কথা! আমি এসবে বিশ্বাস করি না৷ প্রগতিশীল মানেই মদপান, গাঁজা টানা! এটি বিকৃত মানসিকতা৷ আমি ধর্ম মেনেই প্রগতিশীল হতে চাই৷'' প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সমর্থন করে সুলতান ইব্রাহিম লিখেছেন, ‘মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী সত্য বলেছেন। এজন্য আমি তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি'
অন্যদিকে পাঠক মেহের আলী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষন করার কথা লিখেছেন৷
-
রাতের আঁধারে সরানো হলো ভাস্কর্য
ন্যায়বিচারের প্রতীক
রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিসের’ আদলে তৈরি এক হাতে তলোয়ার ও অন্য হাতে দাঁড়িপাল্লা ধরা ভাস্কর্যটি ঢাকার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয় গতবছরের শেষের দিকে৷ এরপর হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠন ভাস্কর্যটিকে ‘অনৈসলামিক’ আখ্যা দিয়ে সেটিকে সরিয়ে ফেলার দাবি তোলে৷
-
রাতের আঁধারে সরানো হলো ভাস্কর্য
গ্রিক দেবী, নাকি বাঙালি নারী?
ইসলামপন্থি নেতারা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভাস্কর্যটিকে গ্রিক দেবীর বলে জানালেও ভাস্কর মৃণাল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, ‘‘গ্রিক দেবী ঠিক নয়, বলাও ঠিক হবে না৷ এটা গ্রিক ভাস্কর্য নয়, একটা বাঙালি মেয়ে, শাড়ি-ব্লাউজ পরা৷ গ্রিক হলে সেখানে অন্য পোশাক থাকতো৷ ভুল জিনিস মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়৷’’
-
রাতের আঁধারে সরানো হলো ভাস্কর্য
রাতের বেলা অপসারণ
ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা নিয়ে আলোচনার মাঝেই বৃহস্পতিবার হঠাৎ সেটিকে সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়৷ রাত সাড়ে এগারোটা থেকে ভোর চারটার মধ্যে সেটিকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে নামিয়ে ফেলা হয়৷ এ সময় সংশ্লিষ্ট এলাকায় বাতির সংখ্যা কমিয়ে অনেকটা রাতের আঁধারে মুর্তি সরানোর কাজ পরিচালনা করা হয়৷
-
রাতের আঁধারে সরানো হলো ভাস্কর্য
নতুন ঠিকানা অ্যানেক্স ভবন?
ন্যায়বিচারের প্রতীক ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে সরিয়ে হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে প্রতিস্থাপনের কথা শোনা যাচ্ছিল৷ তবে সেটা প্রতিস্থাপনের বদলে শুক্রবার ভোর রাত পাঁচটার দিকে একটি পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে অ্যানেক্স ভবনের ভেতর পানির পাম্পের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম৷
-
রাতের আঁধারে সরানো হলো ভাস্কর্য
প্রতিবাদ, বিক্ষোভ
এদিকে, বৃহস্পিতবার রাতে ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার খবর প্রকাশের পরপরই সুপ্রিমকোর্টের সামনে জড়ো হন কয়েকশ’ প্রতিবাদকারী৷ মূলত বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘আপোশ, না রাজপথ?-রাজপথ, রাজপথ’, ‘হেফাজতের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘মৌলবাদের আস্তানা, ভেঙে দাও জ্বালিয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে ভাস্কর্য অপসারণ ঠেকানোর চেষ্টা করেন৷
-
রাতের আঁধারে সরানো হলো ভাস্কর্য
বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও পুলিশ
শুক্রবার ঢাকায় প্রতিবাদকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ৷ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস, জলকামান এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়৷ কয়েকজন প্রতিবাদকারীকে পুলিশ আটক করেছে বলেও জানা গেছে৷
-
রাতের আঁধারে সরানো হলো ভাস্কর্য
ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের দাবি
ন্যায়বিচারের প্রতীক ভাস্কর্যটি পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা৷ শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের তরফ থেকেও প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম (এএফপি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
তবে ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু সৌরভ মাজহারের মতে, প্রধানমন্ত্রী সঠিক কথাই বলেছেন। তিনি লিখেছেন,‘‘ ইসলামের বিরুদ্ধে কথা না বললে তো আবার তথাকথিত প্রগতিশীল হওয়া যায় না৷'' পাঠক রকিবুল ইসলামও সৌরভ মাজহারের সাথে একমত৷
পাঠক খান সাঈদ, ওয়াকিল আহমেদ, জাবেদ মাহমুদ, সালেহ আহমেদ, ইমরান আজাদসহ অসংখ্য পাঠক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করেছেন ফেসবুক পাতায়৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী