‘ধরিত্রী বাঁচাতে এগিয়ে এলেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া’ | পাঠক ভাবনা | DW | 31.05.2011
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘ধরিত্রী বাঁচাতে এগিয়ে এলেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া’

ধরিত্রী বাঁচাতে নোবেল বিজয়ীদের বৈঠকে ভিক্টোরিয়া শীর্ষক প্রতিবেদনটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো৷ ধরিত্রী বাঁচাতে এগিয়ে এলেন ২০ জন নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব এবং সুইডিশ রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া,

এই কাজে তার মতো মানুষের অংশ গ্রহণ খুবই প্রয়োজন৷

একাত্তরের বিজয়ী ফজলুল এখন দিনমজুর ! এই প্রতিবেদিনটি পড়ে বেশ বিস্মিত হয়ে গেলাম৷ ১৯৭১ সালে এই ফজলুল হক ভূঁইয়া ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মানুষ৷ তরতাজা যুবক তখন, বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে তাই অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন হাতে৷ উদ্দেশ্য দেশ স্বাধীন করা৷ মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ফজলুল ঝাঁপিয়ে পড়েন পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে৷ একাত্তরের ২৭ মার্চ আখাউড়া ইপিআর ক্যাম্পে বীরত্বের নির্দশন রাখেন তিনি৷ তার মত দেশপ্রেমিকের সঠিক ও যথাযথ মর্যাদা একান্তভাবে প্রার্থনীয়৷

''২০১৩ সালের মধ্যে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে চায় বাংলাদেশ'' এবং ''চাঁদের মাটি খুঁড়তে চায় বাংলাদেশি রোবট'' শীর্ষক প্রতিবেদন দুটি খুবই তথ্য সমৃদ্ধ ও বস্তুনিষ্ঠ ছিল৷ এই শীর্ষক প্রতিবেদন দুটি দেখে বাংলাদেশের মহাকাশ প্রযুক্তি ও গবেষণা সমন্ধে প্রত্যাশা একটু বেশিই বেড়ে গেল৷ সুন্দর ও আকর্ষণীয় প্রতিবেদন ও পরিবেশনাগুলির জন্য ডয়চে ভেলেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ৷ মহ. হাফিজুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল মিতালি লিসনার্স ক্লাব, চুপী, পূর্বস্থলী, বর্ধমান৷

সুরের ভুবন পর্বে বব ডিলানকে নিয়ে পরিবেশনা খুব ভালো লাগলো৷ তাঁর সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম৷ বিধান চন্দ্র টিকাদার, গুলশান ১, ঢাকা, বাংলাদেশ৷

আমাদের প্রিয় সাহিত্যিক মল্লিকা সেনগুপ্তের প্রয়াণে আমরা মর্মাহত, আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি৷ সৌতিক হাতি, রগড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ভারত৷

‘খুদে বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক আসরে সেরা ভারতীয় কিশোর' আমাদের গর্বের বিষয় যে ভারতীয় কিশোর বিজ্ঞানী অ্যামেরিকাতে পুরস্কার পেলো৷ ভারতীয় বংশোদ্ভূত কত কিশোর আছে নানা দেশে, তাদের মেধার তারিফ করতে হবে৷ আমরা ভারতীয়রা এই কিশোরের প্রশংসার জন্য গর্ব বোধ করছি৷ ভালো ভালো ছেলে মেয়ে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে ভারত বাংলাদেশ থেকে৷ তার একটাই কারণ এখানে পরিকাঠামো ঠিক নেই৷ ভালো ভালো মেধা আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে৷ সুমনা সান্যাল, শাহানগর, মুর্শিদাবাদ৷

সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প ডেজারটেক নিয়ে লেখা প্রতিবেদনটি মনযোগ দিয়ে পড়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম বিষয়টি সম্পর্কে৷ অন্যান্য প্রতিবেদনগুলো পড়েও উপকৃত হলাম৷ কৃষ্ণপদ বাইন, ভয়েস অফ জার্মানি লিসনার্স ক্লাব, জলিরপাড়, গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ৷

সমাজ জীবনে ‘কাগজের অস্বাভাবিক চাহিদা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে' শিরোনামে প্রতিবেদনটি পড়ে হতবাক হলাম৷ সত্যিই তো আমরা কম্পিউটারের যুগে এসেও যদি আমাদের প্রয়োজনীয় কাজে এত বিপুল পরিমাণে কাগজের প্রয়োজন হয় তাহলে কম্পিউটারের, সিডি, ডিভিডি, পেনড্রাইভ ইত্যাদির প্রয়োজন ছিল কি? কম্পিউটার আবিষ্কারের ফলে আমাদের নিত্যদিনের কাজ খুব সহজ হয়ে গিয়েছে ঠিক আছে কিন্তু প্রতিবছরে আমাদের কাগজের চাহিদা মেটাতে যদি ১ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার বনজঙ্গল উজাড় করতে হয় তাহলে তো অদূর ভবিষ্যতে আমাদের বেঁচে থাকাই দূরূহ হয়ে পড়বে৷ তাই নয় কি? আমাদের ধারণা ও পরামর্শ কাগজের ব্যবহার কমিয়ে বা গাছের কাঠ থেকে নতুন কাগজ তৈরি না করে পুরানো কাগজ রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার করা হলে পরিবেশের অনেক কম ক্ষতি হয়৷ তাছাড়া প্রত্যেকটি অফিস আদালতের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বা তথ্য কাগজে প্রিন্ট করে নয়, তা সিডিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আমার মনে হয় কাগজের উপর থেকে চাপ অনেকটা কমবে৷

বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে ‘জুলাইতে পাওয়া যাবে ১২ হাজার টাকার ল্যাপটপ' শিরোনামে প্রতিবেদনটি সবার মনেই আনন্দের জোয়ার বয়ে আনবে৷ বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের একটি দৃঢ় ঘোষণা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত করা৷ আর এই ডিজিটাল রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার প্রথম ধাপই হচ্ছে সবার হাতে স্বল্পমূল্যে কম্পিউটার তুলে দেওয়া৷ যদি ঘোষণা ঠিক থাকে আমরা জুলাই মাসের মধ্যে ১২ হাজার টাকায় ল্যাপটপ কম্পিউটার ক্রয় করতে পারব৷ আর তবেই আশা করা যাচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি ডিজডটাল রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব হবে৷ এ ক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে এই সকল কম্পিউটার চালাতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে এর পর পরই দেশকে বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে৷ এ জন্য সরকারকে আরো একটি কাজ করতে হবে তা হলো ইন্টারনেট চার্জ কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে৷ এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় আমরা প্রথম যখন বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহার করেছি তখন প্রতি মিনিট কথা বলার জন্য মোবাইল কোম্পানিগুলো চার্জ নিত ১০/১২ টাকা অথচ এখন তা প্রতিমিনিটে দিতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ১.৫০ টাকা৷ তাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য আনলিমিটেড ইন্টারনেট সার্ভিস চালু করতে হবে নাম মাত্র মূল্যে ১০০/২০০ টাকায়৷

ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল চাবিকাঠিই হলো ইন্টারনেট৷... আর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো সফল হোক এই কামনা করি৷ মোঃওবায়দুল্লাহ পিন্টু রেইনবো শ্রোতা সংঘ, আমলা, মিরপুর, কুষ্টিয়া৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক