‘‘এইভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের কেউ রোহিঙ্গাদের সহ্য করবে না৷ তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে৷'' এই মন্তব্য ডয়চে ভেলের পাঠক সুমন সরকারের৷ তিনি মনে করেন, ‘ইয়াবা' নেশা বাংলাদেশে আনার জন্য রোহিঙ্গারাই দায়ী এবং ‘‘এদের মধ্যেই আছে এইচআইভি বা এইডসের বীজ৷'' সুমন সরকার একেবারে নিশ্চিত হয়ে লিখেছেন, ‘‘বানিয়ে কিছুই বলছি না, যাঁদের সন্দেহ আছে তাঁরা খোঁজ নিয়ে দেখেন৷''
সনৎ কুমার দাসের মন্তব্য , ‘‘এবার বুঝলেন, মিয়ানমার সরকার কেন এদের দেশ ছাড়া করেছে? এদের নিজেদের কারণে নিজেরা মিয়ানমার ছাড়ছে এটা তো নিশ্চিত৷''
-
ধর্ষণ আর অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা এতিম শিশুরা
গুলি আর ছুরিকাঘাত
গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়েছে৷ তাদেরই একজন মোহাম্মদ বেলাল৷ দৌড়ে পালাতে পেরেছিল ১০ বছর বয়সি এই কিশোর৷ সে জানায়, ‘‘সেদিন সেনাবাহিনী এসে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেয়৷ আমার মা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেসময় তাঁকে গুলি করা হয়৷ আমার বাবা হাঁটতে পারছিলেন না, তারা তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে৷ আমি নিজ চোখে এসব দেখেছি৷’’
-
ধর্ষণ আর অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা এতিম শিশুরা
আতঙ্কগ্রস্ত
মোহাম্মদ বেলালের বোন নূরও হত্যাযজ্ঞ দেখেছে৷ নিঃসঙ্গ হয়ে সে আর তার ভাই এখন বাংলাদেশে শিশুদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আছে৷ এখানে সে নিয়মিত খাবার পাচ্ছে এবং খেলতে পারছে৷এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য৷ মিয়ানমারে থাকার সময় তাদের দুই ভাই-বোনকে বেশিরভাগ সময়ই না খেয়ে থাকতে হতো৷ তারপরও সাম্প্রতিক এই ট্রমা থেকে কিছুতেই বের হতে পারছে না সে৷ ‘‘আমি আমার বাবা-মা, বাড়ি আর দেশ, সবকিছুই ভীষণ মিস করছি,’’ জানায় নূর৷
-
ধর্ষণ আর অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা এতিম শিশুরা
গভীর সঙ্কট
৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে চলছে এই সঙ্কট৷ সংঘাতে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত দু’ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে৷ সাম্প্রতিক সেনা নিপীড়নের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ১২ বছর বয়সি রহমান বলে, ‘‘তারা আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ অসুস্থ ছিল বলে আমার মা পালাতেও পারেনি৷’’
-
ধর্ষণ আর অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা এতিম শিশুরা
শিশুদের বাঁচাও
বাবা-মাকে হত্যার দৃশ্য নিজ চোখে দেখার পর দিলু আরা তার বোন রোজিনার সাথে পালায়৷ এখন ক্যাম্পে আছে ৫ বছর বয়সি এই শিশু৷ ‘‘আমি খুব কাঁদছিলাম আর পুরোটা সময়ই আমাদের মাথার উপর দিয়ে বুলেট উড়ে যাচ্ছিল৷ কোনো রকমে আমি পালিয়ে এসেছি,’’ বলে শিশুটি৷ বাবা-মা ছাড়া কুতুপালংয়ে আসা এই শিশুদের সাহয়তা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন৷ বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের শতকরা ৬০ ভাগই শিশু৷
-
ধর্ষণ আর অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা এতিম শিশুরা
পশুদের মতো শিকার
জাদেদ আলমও বাবা-মা ছাড়া কুতুপালংয়ে এসেছে৷তবে ভাগ্য ভালো বলে সে তার চাচীকে সাথে পায়৷চাচীই এখন তার দেখাশোনা করছেন৷ সে বলছিল ‘মান্দি পাড়া’ নামে এক গ্রামে বেড়ে উঠেছে সে৷ ফুটবল খেলতেও সে খুব পছন্দ করতো৷ তবে সেনা অভিযানের পর থেকে সবকিছুই বদলে যায়৷ সে জানায়, ‘‘তারা আমাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বলে৷ আমি আমার বাবা-মা’র সাথে দৌড়ে পালাচ্ছিলাম, এমন সময় তাঁদেরকে গুলি করে সেনারা৷ সাথে সাথে মারা যায় তারা৷’’
-
ধর্ষণ আর অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা এতিম শিশুরা
শিশু অপহরণ
এসব ঘটনার সময় সব পরিবারকেই যে আলাদা হতে হয়েছে, তা নয়৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রহমান আলী নামে এই ব্যক্তি এই ক্যাম্পে আছেন৷ তবে এখন তিনি তার ১০ বছর বয়সি ছেলে জিফাদকে খুঁজে পাচ্ছেন না৷ ক্যাম্প এলাকায় প্রায় সারা বছরই শিশু অপহরণের গুজব শোনা যায়৷ রহমানের আশংকা, তাঁর ছেলেও পাচারকারীদের হাতে পড়েছে৷ ‘‘আমি খেতে পারছি না, ঘুমাতে পারছি না৷ আমি মনে হয় পাগলই হয়ে গেছি,’’ বলে রহমান৷
-
ধর্ষণ আর অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা এতিম শিশুরা
‘আমি স্বাভাবিক নেই’
যখন গুলি শুরু হয়, তখন সকিনা খাতুন তাঁর বাচ্চাদের বাঁচাতে প্রাণপণে চেষ্টা করেছে৷ তারপরও ১৫ বছরের ইয়াসমিন আর ২০ বছরের জামালিকে বাঁচাতে পারেননি৷ ঘটনার সময় তারা পাশের গ্রামে ছিল৷ সকিনা বলছিল, ‘‘দাদা-দাদীর সামনে তাদের গলা কেটে হত্যা করা হয়৷ আমি এতটাই অনুভূতি শূণ্য হয়ে পড়েছি যে, এই কষ্টও অনুভব করতে পারছি না৷ তাই এই মুহূর্তে আমি স্বাভাবিক নেই৷’’ দুই সন্তানকে হারালেও বাকি নয় জনকে রক্ষা করতে পেরেছেন তিনি৷
-
ধর্ষণ আর অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা এতিম শিশুরা
হামলা, ধর্ষণ এবং লুটপাট
ইয়াসমিনের বয়স ১৫-র কাছাকাছি৷ তবে তাকে তার চেয়েও কম বয়সি বলে মনে হয়৷ গ্রামে থাকার সময় সে মার্বেল খেলতো আর বাড়ির কাছের মাঠে খেলতো৷ এখন অবশ্য ভিন্ন স্মৃতি তাড়িত করছে তাকে৷ মিয়ানমারের সেনারা তার বাবা ও ভাইদের প্রথমে মারধর ও পরে হত্যা করে৷ একদল সেনা তাকে ধর্ষণও করে৷ এখন ইয়াসমিন কেবল এটুকু বলতে পারে,‘‘আমার শরীরে ভীষণ ব্যথা৷’’
রবিনহুড চৌধুরীর প্রস্তাব, ‘‘রোহিঙ্গাদের অতি তাড়াতাড়ি তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জোর প্রক্রিয়া চালানো হোক৷''
পাঠক রহমানও মনে করেন, ‘‘এসব অপরাধের পর রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হোক৷ প্রয়োজন হলে বল প্রয়োগ করতে হবে৷''
পাঠক শ্রেয়া রায়ও কিন্তু পাঠক রহমানের সাথে একমত৷
‘‘সাধে কি ওরা দেশ ছাড়া হয়েছে ! ওরা পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম ওদের কন্ট্রোলে নিয়ে গেছে,'' মন্তব্য মাহমুদ হোসেনের৷
তবে আশরাফ দেওয়ান ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘ অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়৷ এত লাখ মানুষের মাঝে কিছু খারাপ থাকবে না, এমনটা ভাবাই
বোকামী ৷আমরা মূলত নারী ও শিশুদের জন্য সীমান্ত খুলেছিলাম, তাঁরা ঠিক আছে কিনা সেটাই দেখার বিষয়৷''
তবে সাখাওয়াত সুমন ভিন্ন কথা বলছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘টেকনাফ, কক্সবাজার থেকে বৌদ্ধ পুলিশ, ডাক্তারদের সরিয়ে দিন৷'' তাঁর ধারণা, বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের সেবা করবে না, বরং ষড়যন্ত্র করবে৷
অন্যদিকে পাঠক দেবাশীষ রায় কিন্তু বিশ্বাসই করতে পারেন না যে, রোহিঙ্গারা এসব অপরাধমূলক কাজ করতে পারে৷ তিনি বলছেন, এ সবই নাকি ভূয়া খবর৷ কাজী ওমরেরও একই মত৷
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
অশ্রু
মাত্র একদিন আগেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন ৩০ বছর বয়সি আমিনা খাতুন৷ বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর প্রথম রাত কেটেছে কক্সবাজারের শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রের পাশের সড়কে৷ সাথে ছিল তারই মতো নতুন আসা আরও হাজার হাজার মানুষ৷ সামনের দিনগুলোর কথা ভেবেই হয়তো এই অশ্রুসজল চোখ!
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
শিশুদের চাহনি
ছবি তোলা হচ্ছে দেখলেই গ্রামের ছেলেমেয়েরা দৌড়ে আসে- এই দৃশ্য খুবই পরিচিত৷ কিন্তু শিশুদের চোখেও এত অবিশ্বাস আর হতাশা বোধহয় পরিচিত নয়৷
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
জীবন যুদ্ধ
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ৭০ এর বেশি বয়সি এই নারী মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছেন কিছুক্ষণ আগেই৷ জীবনের এই শেষ দিনগুলোতেও জীবন বাঁচাতে এমন যুদ্ধ করতে হবে কখনও হয়ত ভাবেননি৷
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
অসহায়ত্ব
এই শরণার্থী শিশুর অপেক্ষা একটু ওষুধের জন্য৷ সারা মুখে নানা ক্ষত আর তার ওপর মাছির আনাগোনাতেই বোঝা যাচ্ছে, একটু ওষুধ কতখানি দরকার তার৷
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
নিরুপায়
বৃষ্টি মাথায় ত্রাণকেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা৷ আর তো কোন উপায় নেই!
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
আশ্রয়ের অপেক্ষা
মাত্রই বাংলাদেশে এসেছেন৷ শুরুতে জায়গা হয়েছে এক স্কুল ঘরে৷কিন্তু সেখানে তো আর থাকা যাবে না৷থাকতে হবে আশ্রয়কেন্দ্রে৷নতুন সেই ঠিকানার অপেক্ষাতেই এখন তারা৷
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
ত্রাণের আশা
কক্সবাজারের বালুখালি শরণার্থী শিবিরে আর সবার মতোই একটু ত্রাণের আশায় কোলের সন্তানকে নিয়ে অপেক্ষায় এই নারী৷
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
চৌদ্দ দিন পর
সালেহা বেগম নামের এই মা এতটুকুন শিশুকে নিয়ে ১৪ দিন ধরে জঙ্গল পথে হেঁটেছেন৷ তারপর পেরেছেন সীমান্ত পাড়ি দিতে৷ এখন অপেক্ষা একটু আশ্রয়ের৷
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
বিশ্রাম
টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ পর্যন্ত নৌকায় গাদাগাদি করে এসে কোনমতে পৌঁছেছে সবাই৷ নতুন আশ্রয়ে যাবার আগে তাই একটু বিশ্রাম৷
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
দায়িত্বের ভার
টেকনাফে পৌঁছেই ছুটতে হচ্ছে ত্রাণের আশায়৷ নিজেই এক শিশু, তার ওপর কোলে, পাশে আরও ভাই-বোন থাকায় দায়িত্ব যেন বেড়ে গেছে৷
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
প্রতিক্রিয়া
এত মানুষের টানাহ্যাঁচড়ার মধ্যেই দাঁড়াতে হয় ত্রাণের লাইনে৷ ধাক্কাধাক্কি সহ্য করে আর কতক্ষণ৷ তাল সামলাতে না পেরে তাই চোখ ফেটে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু৷
-
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
অনিশ্চয়তা
আদরের ধন নাতিকে কোলে নিয়ে এই নারী বসে আছেন ত্রাণের আশায়৷ কিন্তু একটু ত্রাণই তো সব নয়৷ নাতির ভবিষ্যত কী, সেই ভাবনাতেই খানিকটা উদাস হয়ে পড়েছেন তিনি৷
আর আবদুল্লাহ আল মামুন রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে লিখেছেন, ‘‘নিউইয়র্কে দৈনিক শতশত আপরাধ সংগঠিত হয়, রোহিঙ্গাদের মাসে ৩০টি অপরাধ, তার মানে দৈনিক ১ টি অপরাধ৷ এটা সংবাদ হওয়ার মতো কিছু না৷ ''
মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন কাউকে দোষ না দিয়ে বরং এত বড় সমস্যাটির সমাধান নিয়ে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রায় দশ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে৷ এর মধ্যে ১০ হাজার অপরাধী থাকা কি অস্বাভাবিক? অপপ্রচার না করে পরিস্থিতি কিভাবে ট্যাকেল দেয়া যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী
-
রোহিঙ্গা শিবিরে কলেরার টিকাদান অভিযান
টিকাদান কর্মসূচি
মিয়ানমার থেকে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী দীর্ঘ সারিতে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে কলেরা ভ্যাকসিনের জন্য৷ সম্প্রতি আসা শরণার্থীদের মধ্যে দশ হাজারেরও বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত৷ ডায়রিয়া, কলেরার মতো রোগ মূলত পানীয় জল বা খাদ্যের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে৷
-
রোহিঙ্গা শিবিরে কলেরার টিকাদান অভিযান
সেবায় নিয়োজিত দুশ’ ভ্রাম্যমান দল
বাংলাদেশে আসা প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গাকে কলেরার টিকা দেয়ার দায়িত্বে রয়েছে দু’শ’ ভ্রাম্যমান দল৷ ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)-র এক প্রতিবেদনে তা জানানো হয়৷
-
রোহিঙ্গা শিবিরে কলেরার টিকাদান অভিযান
শিশুদের জন্য...
ডাব্লিউএইচও এবং বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য, প্রথম ধাপে উখিয়া ও টোকনাফ শরণার্থী শিবিরের ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া৷ অক্টোবরের শেষে শুরু হবে টিকা দানের দ্বিতীয় পর্ব৷ পাঁচ বছরের কম বয়সি আড়াই লাখ শিশুকে কলেরা থেকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেয়া হবে তখন৷
-
রোহিঙ্গা শিবিরে কলেরার টিকাদান অভিযান
কলেরা একটি বিপজ্জনক রোগ
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রধান এডুয়ার্ড বাইগবেডার বলেন, ‘‘কলেরা একটি বিপজ্জনক রোগ, বিশেষ করে যারা ঘনবসতিপূর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন করে, তাদের জন্য এটি আরো বেশি বিপজ্জনক৷’’
-
রোহিঙ্গা শিবিরে কলেরার টিকাদান অভিযান
শুধু রোহিঙ্গা নয়
উখিয়া এবং টেকনাফে ৪০টি অস্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কলেরার ভ্যাকসিন খাওয়ানোর কার্যক্রম চলবে একযোগে৷ স্থানীয়দের মধ্যেও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এই টিকা কার্যক্রম শুরু করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷
-
রোহিঙ্গা শিবিরে কলেরার টিকাদান অভিযান
অন্য কোনো সংক্রামক রোগ
রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্য কোনো সংক্রামক রোগ রয়েছে কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য একটি বিশেষ মেডিকেল টিম কাজ করছে ক্যাম্পগুলোতে৷ ইতিমধ্যে টেকনাফে কয়েকজন হামে আক্রান্ত রোহিঙ্গা শিশু ও হেপাটাইটিস-বি ও সি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার