সাহায্য পাওয়ার জরুরি নম্বর ১০৯২১ | পাঠক ভাবনা | DW | 09.10.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

সাহায্য পাওয়ার জরুরি নম্বর ১০৯২১

নির্যাতিত শিশু এবং নারীকে সাহায্য করার বিশেষ নম্বরটিতে সত্যিই সাহায্য পাওয়া যাবে কিনা – সে সম্পর্কে অনেকের তেমন আস্থা না থাকলেও ভিন্ন মতও রয়েছে কারো৷ এ সম্পর্কে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লেখা মিশ্র প্রতিক্রিয়া পড়ুন৷

‘‘কোনো শিশু বা নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কিংবা নির্যাতিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে এই নম্বরে ফোন করুন'' – ডয়চে ভেলের এই অনুরোধের উত্তরে আমাদের ফেসবুক পাতায় বন্ধু ইমরান খানের এই মন্তব্য, ‘‘আরে ভাই, নারী, শিশুদের কি নির্যাতন করবো? ওরাই এখন আমাদের উল্টো নির্যাতন করে৷ তাই আমাদের জন্য একটি নাম্বার দিন, আমরা যেন ফোন করতে পারি৷''

মাহবুব শাকিলের ধারণা, এই নম্বরে ফোন করলে কোনো সাহায্য পাওয়া যাবে না, কোনো লাভ নেই৷ তাঁর মন্তব্য,‘‘ ওরা অমানুষ, চাপাবাজ৷''

ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আরমান বেশ বিশ্বাসের সঙ্গেই জানিয়েছেন যে, দরকার পড়লে ‘হেল্পলাইন'-এর এই নম্বরে তিনি ফোন করবেন৷

ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু ফিরোজ খান বন্ধু ইমরান খানের সাথে একমত৷ অর্থাৎ তাঁরও ধারণা এখন নারী নয়, উল্টো পুরুষই নির্যাতনের শিকার৷

মো. নাঈম বাবু অনেকটা একই মত পোষন করেন৷ তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘পুরুষ নির্যাতন হলে কাকে ফোন দেবে?''

এখানে শিশু ও নারীর বিপদে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে পারে এমন নম্বর দেওয়া হলো৷ কিন্তু পুরুষদের জন্য তো কোনো ঠিকানা জানানো হলো না? প্রশ্ন পাঠক সুভাষের৷

মোবারক হোসেন সুমনেরও নম্বরের ব্যাপারে একদমই বিশ্বাস নেই৷ তাঁর ধারণা, এ সব ‘হেল্পলাইন' নম্বরগুলো নাকি উল্টে আরো বিপদে ফেলে৷

অন্যদিকে তাপস মজুমদার মনে করেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের সাহায্য করার জরুরি ফোন নম্বরটি জানানো বেশ ভালো উদ্যোগ৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘এভাবে সংখ্যালঘুদের জন্য হটলাইন নাম্বার দেয়া ও সহায়তা করা দরকার৷''

জলিলুর রহমানও উদ্যোগটিকে ভালো মনে করছেন৷ তবে তাঁর খানিকটা সন্দেহ রয়েছে উদ্যোগের প্রয়োগ সম্পর্কে৷ তাঁর মতামত তিনি তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘‘ভালো উদ্যোগ যদি কাজে লাগানো যায়৷ কারণ আমাদের দেশে উদ্যোগ আছে, কিন্তু বাস্তবতা নেই৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন