বেশ কিছুদিন চিঠি লেখা হয়নি৷ কিছুদিন আগে একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি লিখলেও তা আপনাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়নি৷ সে যাই হোক, আপনাদের ওয়েবসাইট ঘাঁটতে ঘাঁটতে মনে হলো, একটু লিখেই ফেলি৷ তাই লিখছি...
খুব ভালো লাগল, ‘দেরি করে অবসর নেয়া ডিমেনশিয়া কমায়' নিবন্ধটি৷ আমরা যারা সরকারি চাকরি করি, নিয়মানুযায়ী একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছে গেলেই আমাদের অবসর নিতে হয়৷ অথচ দেখা যায়, তখনও আমাদের শরীর ও মন কর্মক্ষম আছে৷ স্বাভাবিকভাবেই, হঠাৎ জীবন থেকে কাজটা চলে গেলে মানসিক একটা সমস্যা তৈরি হয়৷ আর এটাই দ্রুত ডিমেনশিয়া ডেকে আনতে পারে৷ ফ্রান্সের বৈজ্ঞানিক দলের গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে, কোনো ব্যক্তি যদি এক বছর বেশি কাজ করেন তাহলে তাঁর ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩.২ শতাংশ কমে যায়৷ অতএব প্রতিটি দেশের সরকারেরই বাধ্যতামূলক অবসরের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার৷ জনস্বাস্থ্য রক্ষার প্রয়োজনেই৷ বিশেষত, জুন স্প্রিঙ্গার নামের সেই ৯০ বছরের ‘তরুণ' যখন প্রমাণ করে দিয়েছেন যে কর্মপ্রেরণার কাছে বয়স কোনো সমস্যাই নয়!
তাই বয়স নয়, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতাই চাকরি থেকে অবসরের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হওয়া উচিত৷ অবশ্য সারা পৃথিবী জুড়ে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের এই যুগে বয়স্ক মানুষেরা যদি দীর্ঘদিন কাজ করে চলেন, তাহলে তরুণ সমাজের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যাই আসবে৷ এই ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনা করা দরকার৷ ভালো থাকবেন৷ কেকা প্রধান, পাথরডিহি, বাগমুন্ডি, পুরুলিয়া থেকে লিখেছেন৷
‘জার্মানিতে রোজার মাস' শিরোনামের ছবিগুলি দেখলাম৷ খুব ভালো লাগলো ওখানকার রোজার মাসের রীতিনীতি দেখে৷ প্রতিদিন ডয়চে ভেলের বাংলা ওয়েবসাইট দেখছি, মতামতও পাঠাচ্ছি৷ কিন্তু পাঠক ভাবনায় তা দেখছি না কেন? বিধান চন্দ্র টিকাদার, গুলশান, ঢাকা থেকে পাঠিয়েছেন এই ই-মেলটি৷
- ধন্যবাদ দু'জনকেই৷ তবে বন্ধুরা, সবার লেখা সব ই-মেলের মতামতই যে সবসময় ওয়েবসাইটে দেওয়া যায়, তা কিন্তু নয়৷ আমরা চাইলেও তা সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না৷ তাছাড়া আপনারা মতামত জানিয়ে থাকেন মূলত আমাদের জানার জন্যই, তাই না? তাই অনুরোধ করবো, আপনাদের লেখা মতামত ওয়েবসাইটে না দেখলে ভাববেন না যে, আপনাদের অবহেলা করা হচ্ছে৷ হতে পারে কয়েকদিন পরে দেওয়া হবে, কাজেই মন খারাপ বা অভিমান নয়!
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ