‘কল্যাণপুরের অভিযান দক্ষ পুলিশ অভিনিত মঞ্চ নাটক' | পাঠক ভাবনা | DW | 28.07.2016
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘কল্যাণপুরের অভিযান দক্ষ পুলিশ অভিনিত মঞ্চ নাটক'

কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে প্রশংসার পাশাপাশি রয়েছে কিছু প্রশ্ন৷ যে প্রশ্নগুলো পাঠকদের মনকেও নাড়া দিয়েছে৷ তাঁদেরই মধ্যে অনেকে পুলিশের পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায়৷

কল্যাণপুরে নিহতরা আসলে কারা? চারটি পিস্তল দিয়ে রাতভর মুহুর্মুহু গুলি ছোড়া কীভাবে সম্ভব? এরা ‘জেএমবি' নাকি ‘ইসলামিক স্টেট'-এর সদস্য? কালো পাঞ্জাবি আর জিন্স কি কথিত জঙ্গিদের রাতের পোশাক? এ সব প্রশ্ন ডয়চে ভেলের পাতায় দেখে পাঠক মো. সেলিম উদ্দিন বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘এ সবের উত্তর আপনাদের তো জানা আছে, তবু কেন জনতার কাছে প্রশ্ন করছেন? তাছাড়া এ সব প্রশ্নের জবাব সাধারণ মানুষও জানে, কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে চায় না৷''

কল্যাণপুরের অভিযান সম্পর্কে এ ধরনের প্রশ্ন নাকি পাঠক নাসরিন সুলতানার মনেও ছিল৷ আর সেকথাই তিনি লিখেছেন ডিডাব্লিউ়-র ফেসবুক পাতায়৷ তাছাড়া এই পয়েন্টগুলো তুলে দরার জন্য বোন সুলতানা ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন৷

অন্যদিকে পুলিশ বলছে, ভোর রাতে জঙ্গিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে এবং বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জঙ্গিদের ট্রেডমার্ক পোশাক হচ্ছে কালো পাঞ্জাবি৷ পাঠক ওয়ালিউর রহমানের মতে অবশ্য রাতেরবেলা পালানোর জন্য কালো পোশাক পরাটাই স্বাভাবিক৷

জঙ্গিরা সবজি কাটার ছুরি দিয়ে হামলা চালায়, ২৪ ঘণ্টা কালো পাঞ্জাবি পরে থাকে৷ এই বিষয়টি পাঠক জসিমউদ্দিনকেও খুব অবাক করেছে৷

বিষয়টি নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন আমাদের পুরনো পাঠক জলিল৷ তিনি জানতে চেয়েছেন, ‘‘একটি ছবিতে দেখলাম ছয়-সাত জন গাদাগাদি করে পড়ে আছে৷ এবং প্রায় সবারই মাথায়ই গুলি লেগেছে৷ আবার অন্য আরেকটি ছবিতে দেখা গেল, একজন জঙ্গি ফল কাটা ছুরি হাতে পড়ে আছে৷ তারও মাথায় গুলি লেগেছে৷ জঙ্গিরা কি গলাগলি করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে অবতীর্ণ হয়েছিল? আর জঙ্গিটি মাথায় গুলি লেগে মরে গিয়েও কীভাবে একটা ছুরি আলতো করে ধরে থাকলো? কী করে এ সব সম্ভব!''

নাসির বি এস সরকারের মন্তব্যও অনেকটা পাঠক জলিলের মতো৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘গুলিবিদ্ধ হাত, তবুও মৃত ব্যক্তি আপেল কাটার ছুরি ছাড়েনি৷ মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করেছে, তবুও হাত থেকে আপেল কাটার ছুরি পড়েনি৷ কাভাবে সম্ভব এটা?''

ফেসবুকবন্ধু শাহাদাত হোসেন অবশ্য এতকিছু বুঝতে চান না৷ তাঁর শুধু প্রশ্ন, ‘‘এমন নাটক করে দেশটা শেষ করার কী দরকার বলতে পারেন?''

এ প্রশ্ন উত্তর দিয়েছেন আবদুল্লাহ আল-ফুয়াদের৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘...নাট্যকাররা সব কিছুকেই নাটক মনে করে৷ তারা এভাবেই জজমিয়া নাটক সাজিয়েছিল৷''

‘‘নাটক ভাই সব নাটক৷ শেখ হাসিনা নির্দেশিত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রযোজিত বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষ পুলিশ দ্বারা অভিনিত মঞ্চ নাটক'' – এই মন্তব্য আনামুল হকের৷

পুলিশরা যাদের কথিত জঙ্গি বলে হত্যা করেছে, তাদের সম্পর্কে নীলা নুসরাতের মতামত হচ্ছে, ‘‘গ্রামগঞ্জ থেকে আসা মেধাবী ছাত্ররা কয়েকজন মিলে সস্তায় বাসা ভাড়া করে থাকতো৷ অথচ আজ তারা শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে জঙ্গি৷ ক্ষমতার লোভে মানুষ কী না করে!''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন