ডয়চে ভেলের ফেসবুকবন্ধু ফেরদৌস মুন্নির মতে, ‘‘শেখ হাসিনার খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও চাকরির ব্যবস্থা করার কথা শতকরা এক'শ ভাগই মিথ্যে৷''
জিনাত মহল মিশোর কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘‘এটা যদি হয় সেবা, তাহলে শাসন আর শোষণ কাকে বলে? মো. তানভির হোসেনেরও একই মত৷
‘‘জনগণকে কুকুরের মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে – এর নাম সেবা?'' এ প্রশ্ন ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু ইউনুস আলীর৷
‘‘পৃথিবীর এক নম্বর মিথ্যাবাদী হাসিনা'' – লিখেছেন খান কামাল৷
আকাশ মাহমুদের মতে, ‘‘শেখ হাসিনা এশিয়া মহাদেশের শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ স্বৈরশাসক! এর চেয়ে বড় সত্য আর একটিও নাই৷''
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
দু’দলের দ্বন্দ্ব
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নির্দিষ্ট হয়েছে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে৷ তবে মুখ্য বিরোধী দল বিএনপি এখনো নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি নয়৷ তারা চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, শাসক আওয়ামী লীগের কাছে যা সংবিধান লঙ্ঘনের সমান৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
জাতিসংঘ চায় সংলাপ
জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই দুই বিবাদী জোটের মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছে৷ মহাসচিব বান কি-মুন গত ২৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথাবার্তা বলেছেন৷ জাতিসংঘের মহাসচিব উভয় নেতার প্রতি চলতি রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ অবসানের জন্য আলাপ-আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
হাসিনা চান সংসদে আলোচনা
জাতিসংঘ বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মহাসচিবের ফোনালাপের কোনো খুঁটিনাটি প্রকাশ করেনি৷ তবে বাংলাদেশের একাধিক দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী হাসিনা ‘‘জাতিসংঘের প্রধানকে জানিয়েছেন যে, তিনি সংবিধান অনুযায়ী সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করছেন৷’’ বিরোধীপক্ষ যদি গোটা প্রসঙ্গটি সংসদে আলোচনা করার কোনো প্রস্তাব দেয়, তবে তিনি তাকে স্বাগত জানাবেন, এমন আভাসও দিয়েছেন হাসিনা৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনে বিএনপির ‘না’
বান কি-মুনের সঙ্গে ফোনালাপে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াও সংকট সমাধানে সংলাপের সপক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন, কিন্তু এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ‘‘বিরোধীপক্ষ আওয়ামী লীগ সরকারের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না৷’’
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি ও কেন?
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল কাজ হলো মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা৷ ১৯৯১ সালে এই পদ্ধতি চালু করা হয় কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেই পদ্ধতি বাতিল করে৷ বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী পক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছে৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
জার্মানি সংলাপ সমর্থন করে
সংলাপকে বাংলাদেশের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক জোটের মধ্যে অচলাবস্থা নিরসনের একমাত্র পন্থা বলে মনে করে জার্মানি৷ ‘ঢাকা কুরিয়ার’ নামক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. আলব্রেশট কনৎসে বলেছেন, ‘‘দু’টি মুখ্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপ হলো বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা সমাধানের একমাত্র পথ৷’’
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ডাক দিলেন
বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস একটি ‘‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ (নির্বাচনকালীন) সরকার’’ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য সমর্থন ব্যক্ত করেছেন৷ গত ২২ আগস্ট ইউনূস একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘নির্বাচন অতি অবশ্য হওয়া উচিত এবং তা একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হওয়া উচিত৷’’
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)
হাসিনা সরকারের সৃষ্ট আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বা আইসিটি-র উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার৷ কিন্তু তা শাসকদল এবং বিরোধীপক্ষের মধ্যে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ আইসিটি এখন পর্যন্ত ছ’জন অভিযুক্তকে শাস্তি দিয়েছে৷ বিরোধীপক্ষ এই বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়েছে৷ তাদের মতে এই প্রক্রিয়ার বাস্তবিক উদ্দেশ্য ন্যায়বিচার নয়, পুরাতন শত্রুতার প্রতিশোধ৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
আন্তর্জাতিক সমালোচনা
হিউম্যান রাইটস ওয়াচও আইসিটি-র সমালোচনা করেছে৷ এইচআরডাব্লিউ বিবৃতিতে বলেছে, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক প্রধান গোলাম আযমের বিচার প্রক্রিয়া ‘‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ’’ ছিল৷ প্রতিক্রিয়া হিসেব সরকারি কৌঁসুলির তরফ থেকে এইচআরডাব্লিউ-এর বিরুদ্ধে আদালতের অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এইচআরডাব্লিউ-এর ‘‘একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’’ রয়েছে৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
ট্র্যাক রেকর্ড
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে৷ বিদ্যুৎ উৎপাদন কিংবা কৃষি খাতে সরকারের সাফল্যের খতিয়ান যাই হোক না কেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর হাসিনা সরকারের অন্য সব সাফল্য ঐ একটি কেলেঙ্কারির আড়ালে ধামাচাপা পড়ে গেছে৷ আগামী নির্বাচনেও পদ্মা সেতু প্রকল্প প্রসঙ্গটি প্রভাব ফেলতে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম / এসি
হাসান রেজা শ্যামল বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে ‘জালিম' সরকার বলে আখ্যা দিয়েছেন আমাদের ফেসবুকে৷
‘‘শোষণ আর অত্যাচার করে নাকি টিকে আছেন শেখ হাসিনা'', এমনটাই মনে করেন ফজলুল হক৷
‘‘জনগণের ভোটের অধিকার খর্ব করে, সেই মুখে আবার গণতন্ত্র! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদী!'' বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন জহিরুল আলম৷
‘‘শাসন নয়, শোষণ করা হচ্ছে৷'' শেখ হাসিনা সম্পর্কে সোলায়মান তারিকের ধারণা৷
‘‘সাক্ষাৎকারভিত্তিক গার্ডিয়ানের এই নিবন্ধটি হলো হাসিনার চিরাচরিত মিথ্যাচারের আরেকটা দলিল৷ সে যদি কেবল দেশসেবা করে, তবে খুন-গুমটা করে কে? খুনি কি কখনো খুনের কথা স্বীকার করে? হাসিনার এ সব ডাহা মিথ্যাচার দেশের জনগণতো দূরের কথা, খোদ আওয়ামী লীগের লোকজনই বিশ্বাস করে না৷''এই কথা ফেসবুকে জানিয়েছেন পাঠক কামরুল ইসলাম৷
ফেসবুকে পাঠকদের প্রায় সকলেরই এক কথা যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা কথা বলেন, তিনি মিথ্যাবাদী৷ তবে কোনো দলের পক্ষ না নিয়ে অমিত কুমার বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ দেশের কথা না ভেবে, নিজের ‘ব্যক্তিগত স্বার্থকেই' বড় করে দেখে৷''
প্রধানমন্ত্রী কোথায় কী বললেন তা নিয়ে ফেসবুকবন্ধু জাহাঙ্গীর খান মামুনের মাথা ব্যথা নেই৷ তিনি তাঁর মন্তব্যে শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সব কথা ঠিক আছে৷ কিন্তু আমরা চাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের উচিত আরো কঠোর হওয়া৷ এছাড়া সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল প্রকারের কোটা বাতিল করা হোক৷ অযোগ্য এবং অপদার্থ মার্কা কর্মকর্তা দিয়ে সরকারি সেবার মান ভালো হচ্ছে না৷''
বাংলাদেশে আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ নেই আর সে বিষয়টিই মনে হয় বোঝাতে চেয়েছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুকবন্ধু মাহবুব এলাহি৷ তাঁর বক্তব্যে, ‘‘মক্কা শরিফের ইমামদের ছবি দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনসহ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী আমার দেশ সম্পাদক সেই দোষে জেলে৷ আর এটাই যদি সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ হয় তবে এমন কণ্ঠরোধ আমি হাজারবার চাই৷ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারী, মানুষভভর্তি বাসে আগুন যারা দিয়েছে তাদেরকে ‘ক্রসফায়ার' যদি আইনের চোখে অপরাধ হয়, তবে অপরাধীই হওয়াই ভালো৷''
-
র্যাব – বিতর্কিত এক বিশেষ বাহিনী
‘এলিট ফোর্স’
বাংলাদেশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব নামক ‘এলিট ফোর্স’-এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালে৷ এই বাহিনীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ‘‘পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকার একটি এলিট ফোর্স গঠনের পরিকল্পনা করে৷’’ তবে এই বাহিনী এখন তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন মহল৷
-
র্যাব – বিতর্কিত এক বিশেষ বাহিনী
সমন্বিত বাহিনী
বাংলাদেশ পুলিশ, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে র্যাব গঠন করা হয়৷ এই বাহিনীর উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাস প্রতিরোধ, মাদক চোরাচালান রোধ, দ্রুত অভিযান পরিচালনা এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কার্যক্রমে নিরাপত্তা প্রদান৷
-
র্যাব – বিতর্কিত এক বিশেষ বাহিনী
জঙ্গি তৎপরতা দমন
শুরুর দিকের ব়্যাবের কার্যক্রম অবশ্য বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল৷ বিশেষ করে ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে বাংলাদেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা উগ্র ইসলামি জঙ্গি তৎপরতা দমনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে র্যাব৷
-
র্যাব – বিতর্কিত এক বিশেষ বাহিনী
জেএমবির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার
বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় ২০০৫ সালে একসঙ্গে বোমা ফাটিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা জেএমবির শীর্ষ নেতাদের আটক ব়্যাবের উল্লেখযোগ্য সাফল্য৷ ২০০৬ সালের ২ মার্চ শায়খ আব্দুর রহমান (ছবিতে) এবং ৬ মার্চ সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় ব়্যাব৷ একাজে অবশ্য পুলিশ বাহিনীও তাদের সহায়তা করেছে৷
-
র্যাব – বিতর্কিত এক বিশেষ বাহিনী
ভুক্তভোগী লিমন
২০১১ সালে লিমন হোসেন নামক এক ১৬ বছর বয়সি কিশোরের পায়ে গুলি করে এক ব়্যাব সদস্য৷ গুলিতে গুরুতর আহত লিমনের বাম পা উরুর নীচ থেকে কেটে ফেলতে হয়৷ এই ঘটনায় ব়্যাবের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ তবে এখনো সুবিচার পায়নি লিমন৷ উল্টো বেশ কিছুদিন কারাভোগ করেছেন তিনি৷
-
র্যাব – বিতর্কিত এক বিশেষ বাহিনী
‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’
জঙ্গিবাদ দমনে সাফল্য দেখালেও ক্রসফায়ারের নামে অসংখ্য ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব়্যাবের বিরুদ্ধে সমালোচনা ক্রমশ বাড়তে থাকে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ব়্যাবের বিলুপ্তি দাবি করে জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বাহিনী ‘সিসটেমেটিক’ উপায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে৷
-
র্যাব – বিতর্কিত এক বিশেষ বাহিনী
‘ক্রসফায়ার’
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যালোচনা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে ব়্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ২৪ জন৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি অনুযায়ী, ২০০৪ থেকে ২০১১ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে কমপক্ষে সাতশো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ব়্যাব জড়িত ছিল৷
-
র্যাব – বিতর্কিত এক বিশেষ বাহিনী
আলোচিত সাত খুন
২০১৪ সালের মে মাসে ব়্যাবের বিরুদ্ধে ৬ কোটি টাকা ঘুসের বিনিময়ে সাত ব্যক্তিকে অপহরণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে৷ নারায়ণগঞ্জে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন ব়্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ৷ এই ঘটনার পর ব়্যাবের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আবারো বিতর্ক শুরু হয়েছে৷
-
র্যাব – বিতর্কিত এক বিশেষ বাহিনী
প্রতিষ্ঠাতাই করছেন বিলুপ্তির দাবি
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ব়্যাবের বিলুপ্তি দাবি করেছেন৷ অথচ তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই ‘এলিট ফোর্স’৷
-
র্যাব – বিতর্কিত এক বিশেষ বাহিনী
বিলুপ্তির দাবি নাকচ
বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিক স্তর থেকে ব়্যাবকে বিলুপ্তির দাবি উঠলেও বর্তমান সরকার সেধরনের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না৷ বরং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ব়্যাব বিলুপ্তির দাবি নাকচ করে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘র্যাবের কোনো সদস্য আইন ভঙ্গ করলে তাদের চিহ্নিত করে বিচারিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়৷’’
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
‘খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও চাকরির ব্যবস্থা করছি' - প্রাধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে হেলাল খান শেখ হাসিনাকে সরাসরি অ্যাড্রেস করে বলছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার প্রতি সম্মান পূর্বক জানতে চাই যে আপনার এ কথাটা কতটুকু সত্য? আজ বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তা কি আপনার জানা আছে? আপনি কি দেশের কোনো খবরাখবর রাখেন? হ্যাঁ, আপনি কিভাবে জানবেন? আপনি অনেক কর্মব্যস্ত মানুষ! আপনার কি এ সব দেখার সময়...৷''
‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী গুছিয়ে অনেক সুন্দর মিথ্যা বলতে পারেন! ভেরি গুড৷'' মো. রোকনের মন্তব্য৷
মোহাম্মদ কালাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘তিনি দেশে সারাক্ষণ মিথ্যাচার করেন, এখন বিদেশেও তাই করলেন৷''
শান্তা ইসলাম মনে করেন, বিরোধীদলের নেতাদের গুম ও বন্দি না করলে শেখ হাসিনা টিকে থাকতে পারতেন না৷
সব অপরাধেরই বিচার হয় আর সেকথা বলতে চাইছেন পাঠক এস এ শওকত হোসেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিটি মরার হিসাব দিতে হবে একদিন৷''
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির নমুনা তুলে ধরে মন্তব্য করেছেন বন্ধু রফিক৷ ‘‘জনগণের চাওয়া কি প্রতিদিন পুলিশ ও ছাত্রলীগের হাতে মা-বোন ধর্ষণ ও খুন হোক? শেখ হাসিনা শুধু এই চাওয়াটাই পূরণ করতেছে! যা জনগণ চায় না, উনি সেটাই করতেছে! আর চাকরি ও বিচারের কথা কি বলবো? তাহলে শিক্ষার অমর্যাদা করা হবে! কারণ এ দেশে শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের অভাব নেই৷ কিন্তু চাকরির কোনো খবর নেই!''
বাংলাদেশে মানুষের জীবনের মূল্য নেই৷ আশরাফ শিকদার সেকথাই লিখেছেন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘কুরবানির গরুর চেয়েও এ দেশে মানুষের দাম কম৷ আর এটাই গণতন্ত্র!''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ