পাঠক জলিলুর রহমানের ধারণা, তরুণ প্রজন্মের মাঝে ব্লু হোয়েল খেলার আগ্রহটা জাগিয়েছে কিছু মিডিয়া৷ তিনি মনে করেন, মিডিয়া এ বিষয়ে প্রচার করেছে বলেই এর প্রসার ঘটেছে৷ মোহাম্মদ জিয়ারও ঠিক একই বিশ্বাস৷ তিনি বলছেন আগে কেউ ব্লু হোয়েলের কথা জানতো না৷ তবে এ মন্তব্য করার পরও তিনি নিজে কিন্তু এ ব্যাপারে আরো বেশি জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন৷
তারিকুল বারি ফেসবুক পাতায় তাঁর মতামত লিখেছেন ঠিক এভাবে, ‘‘মিডিয়া চাইছে আমরা সতর্ক হই আর আমরা চাইছি মিডিয়া যেহেতু সংবাদ দিয়েছে, তাহলে একবার পরখ করি৷ এটাই আমাদের সমস্যা ৷ কথায় আছে না, বিজ্ঞাপনে পণ্যের প্রসার, এটা ঠিক তাই৷''
মনোবিজ্ঞানী এবং অনলাইন গেম বিশেষজ্ঞরা কিন্তু অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার কথা বলছেন৷ আর পাঠক তৃষা মিত্র আমাদের জানিয়েছেন, ভারতে কয়েকজন মারা গেছে ব্লু হোয়েলের কারণে৷
-
কম্পিউটার গেমে যৌনতা
যৌনতার উপস্থিতি
ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি কম্পিউটার মেলার৷ সেখানে অংশ নিয়েছিল কম্পিউটার গেম ডেভেলপার ‘ইউবিসফট’৷ তাদের নতুন গেম ‘জাস্ট ড্যান্স ২০১৪’-র প্রচারণা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে এই চার নারী ও পুরুষ মডেল গেমের চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলছেন৷
-
কম্পিউটার গেমে যৌনতা
অর্ধেকই নারী
জরিপ বলছে, প্রতি তিন জার্মানের একজন নিয়মিত কম্পিউটার গেম খেলেন এবং গেমারদের অর্ধেকই নারী৷
-
কম্পিউটার গেমে যৌনতা
পছন্দের ভিন্নতা
পুরুষ গেমাররা পছন্দ করেন অ্যাকশন৷ তবে মেয়েদের পছন্দ এমন গেম, যা তাঁদের জন্য আরামদায়ক এবং অনেকটা কমিউনিটি নির্ভর হয়৷ সংশয়, মারামারি আর প্রতিযোগিতায় ভরপুর গেম তাঁদের বিশেষ পছন্দ নয়৷ বরং সামাজিক গেম, যেগুলো ফেসবুকের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটে অন্তর্ভুক্ত আছে এবং বন্ধুদের সঙ্গে খেলা সম্ভব, সেগুলোই খেলে থাকেন মেয়ে গেমাররা৷
-
কম্পিউটার গেমে যৌনতা
নারী ডিজাইনারের সংখ্যা কম
জার্মানিতে নারী ডিজাইনারের সংখ্যা মাত্র ২০ শতাংশ৷ সে কারণে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও গেম ডেভেলপের ক্ষেত্রে নারীর পছন্দকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না৷
-
কম্পিউটার গেমে যৌনতা
তাই বিতর্কিত উপস্থাপন
ডিজাইনের ক্ষেত্রে মেয়েদের উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে গেমগুলোর নারী চরিত্রগুলোকে হয় বাড়াবাড়ি রকম সেক্সি, না হয় অসহায় মানুষ হিসেবে দেখানো হয়৷ নারী ডিজাইনারের সংখ্যা বাড়লে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা৷
-
কম্পিউটার গেমে যৌনতা
কেন কম?
জার্মানির আরেক গেম ডিজাইনার ক্যারোলিন গেপার্ট৷ তাঁর নিজের একটি গেম তৈরির কোম্পানি রয়েছে, যার নাম ‘ইয়ো মেই’৷ শুরুতে কাজ করতেন একটি কোম্পানিতে৷ সেখানে কাজ শিখে পরে নিজেই নিজের সংস্থাটি খোলেন৷ কিন্তু তিনি বুঝে উঠতে পারেন না, কেন গেম শিল্পে মেয়েদের উপস্থিতি এতটা কম৷
লেখক: জাহিদুল হক
আর সৌরভ মাজহার ও অপু এ বিষয়ে আরো জানার জন্য সংশ্লিষ্ট লিংকটি পাঠানোর অনুরোধ করেছেন৷
‘ব্লু হোয়েল' লিংকটা কি বন্ধ করার কোনো ব্যবস্থা নেই? এই প্রশ্ন পাঠক মোহাম্মদ আলীর৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু হায়দার সিদ্দিক কিরণেরও এই একই প্রশ্ন৷
আর সকলকেই ‘ব্লু হোয়েল' না খেলার অনুরোধ পাঠক নুরুল হকের৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী