আমাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দিনে কিছুটা কম হলেও রাতে আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয় ঢাকা৷ ফেসবুকে ডয়চে ভেলের পাঠক বন্ধুদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা কি আতঙ্কিত? প্রতিবেদনটি পড়ে পাঠক আরাফাত মাহমুদ বাবুর মতো অনেকেই জানিয়েছেন, ‘‘সব সময় আতঙ্কে থাকি ৷'' পাঠকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আবার এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই দোষারোপ করেছেন ফেসবুকে মন্তব্যের ঘরে৷
২৬, ৫৭৬ জন পাঠক দেখেছেন এই প্রতিবেদনটি৷ ১,৯১০ লাইক করেছেন আর যারা মন্তব্য করেছেন তাদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়, প্রায় ৪০জন৷
তাঁদের একজন যেমন মাহবুবুন নূর লিখেছেন, ‘‘বুধবার বিকেলে নবীনগর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হয়েছি আপার বাসায় যাবো৷ ১০-১৫ মিনিট পর মা ফোন করে বলল ঘরে ফিরে যাও, ঢাকায় গণ্ডগোল হচ্ছে৷ শুধু আমি নিজে নই পরিবারের সবাই একে অন্যের জন্য আতঙ্কিত৷'' তবে তিনি আশাবাদী৷ লিখেছেন, ‘‘অবিলম্বে আলোচনার দুয়ার উন্মোচন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি ফিরে আসুক এই প্রতীক্ষায় দিন গুনছি৷''
পাঠক রাকিব হাসানের মন্তব্য, ‘‘ঢাকার জনগণের জন্যই তো এত কষ্ট হচ্ছে৷ সারা দেশের মানুষ বের হয়, ওদের বের হতে কী হয় ? ওরা বের হলেই তো সরকার পতন ঘটে৷''
-
অস্থির বাংলাদেশ
অবরুদ্ধ খালেদা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে আটকে রেখেছে পুলিশ৷ যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, তবে সোমবার তিনি বাইরে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁর গেটে তালা লাগিয়ে দেয়৷ ফলে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গেটের মধ্যেই৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
অবরোধ ঘোষণা
অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন৷ গুলশানের কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আজ আমাদের কালো পতাকা কর্মসূচি ছিল৷ সমাবেশ করতে দেওয়া হয় নাই৷ পরবর্তী কর্মসূচি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে৷’’
-
অস্থির বাংলাদেশ
খালেদার কার্যালয় ঘিরে পুলিশ
প্রসঙ্গত, গত দু’দিন ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ ছবিতে পুলিশে একটি গাড়ি রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রেখে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এভাবে আরো কয়েকটি বালু এবং ইটভর্তি ট্রাকও রাখা হয়েছে৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
গাড়িতে আগুন
রবিবার থেকেই ঢাকায় সভা, সমাবেশ, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে বিএনপিসহ বিশ দল৷ ঢাকায় একটি সিএনজি এবং মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ছবি এটি৷ বিএনপি সমর্থকরা এটা করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
পার্ক করা গাড়িতে আগুন
পার্ক করে রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দিচ্ছে বিএনপির সমর্থকরা৷ ছবিটি ঢাকা থেকে তোলা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
রাজপথে সরব আওয়ামী লীগ
পুলিশ সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন৷ বিষয়টি সমালোচনা করে ফেসবুকে সাংবাদিক প্রভাষ আমিন লিখেছেন, ‘‘...নিষেধাজ্ঞা কি শুধু বিএনপির জন্য? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো দেখি শহরজুড়ে মিছিল করছে, উল্লাস করছে, গান শুনছে, গান গাইছে৷’’ ছবিতে ঢাকায় বিএনপির এক সমর্থককে পেটাচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
‘শান্তির পথে আসুন’
এদিকে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বিএনপি নেত্রীকে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে দাবিতে বিএনপিসহ বিশদল আন্দোলন করেছে, সেই দাবির প্রতি কোন নমনীয়তা দেখাননি তিনি৷ হাসিনা মনে করেন, সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা বিএনপির রাজনৈতিক ভুল ছিল৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
‘একতরফা’ নির্বাচন
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি৷ সেই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোন ভোটাভুটি হয়নি৷ বাকি আসনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশ কম৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেটিকে ‘একতরফা’ নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
হাসিবুল লিমন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খুবই বিরক্ত৷ রাজনীতিকদের ওপরও তাঁর অনেক রাগ৷ তিনি নতুন করে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন, লিখেছেন, ‘‘বাঙালির জীবন খুব সস্তা, সবাই বাঙালির সাথে খেলা করে৷ এমনকি সরকার, বিরোধীদল সবাই৷ আল্লাহ্ সবাইকে হেদায়েত দান করুন৷ আসুন সবাই লোভ লালসা ত্যাগ করে একটা সবার অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করুন৷ দেশ আমাদের সবার, শুধু আপনাদের কয়েক'শ জনের নয়৷ আমরা ১৬ কোটি খেপে গেলে কিন্তু আপনাদের কারো চুলের টুকরাও খুঁজে পাওয়া যাবে না৷ আপনাদের বাবা, স্বামী দেশের জন্য অনেক করেছে কিন্তু সেটা আজ থেকে ৩০/৪০ বছর আগে৷ ওটা নিয়ে ভাবার সময় আমাদের বর্তমানের নাই, আমরা চাই সামনে এগিয়ে যেতে কিন্তু আপনারা আওয়ামী লীগ, বিএনপিই হচ্ছেন আমাদের বড় বাধা৷ আসুন সবাই একসাথে সব খারাপের বিরুদ্ধে কথা বলি৷ আমরা ১৬ কোটিই পারি দেশটাকে রক্ষা করতে মনে রাখবেন ওরা মাত্র কয়েকশ৷ ১৬ কোটি মানুষের সামনে কয়েক লাখ অস্ত্র কিছুই না৷ আসুন আমাদের দেশ আমরাই গড়বো৷ আমরাই পারি পুরাতন ক্যাচাল থেকে দেশকে মুক্ত করে সামনে এগিয়ে নিতে৷''
রফিকুল ইসলাম শেখ জানিয়েছেন তার কথা এভাবে, ‘‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই৷ কারণ জনগণ শুধু একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ইচ্ছে করেই এসব করছে৷''
পাঠক সাদ তাজ দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণ হিসেবে নিজের জাতিকেই দোষারোপ করছেন৷ তাঁর ভাষায় ‘‘আমরা বড়ই দূর্ভাগা জাতি৷ আমরা আমাদেরকে হিংসা করি, নিজেরা নিজেদের হত্যা করি, নিজেরা নিজে নিজে আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি!!! দু'দল আজ আমাদের জাতিকে দুইটা ভাগে ভাগ করে দিয়েছে যা কোনো দিনও আর এক হবে না৷ তাই আমরা মানুষ (ভাল) হবো কবে জানি না!!!''
অন্যদিকে আজিজুল আলমের মত আতঙ্কিত হওয়ার মতো, তাঁর জানিয়েছেন ‘‘মোটেই আতঙ্কিত নই৷ বরং নাশকতা কারীরা আতঙ্কিত আর এ সব নাশকতার সাজা হতে পারে গুলি৷ বিকল্প পথ দেখি না৷''
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
দু’দলের দ্বন্দ্ব
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নির্দিষ্ট হয়েছে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে৷ তবে মুখ্য বিরোধী দল বিএনপি এখনো নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি নয়৷ তারা চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, শাসক আওয়ামী লীগের কাছে যা সংবিধান লঙ্ঘনের সমান৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
জাতিসংঘ চায় সংলাপ
জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই দুই বিবাদী জোটের মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছে৷ মহাসচিব বান কি-মুন গত ২৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথাবার্তা বলেছেন৷ জাতিসংঘের মহাসচিব উভয় নেতার প্রতি চলতি রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ অবসানের জন্য আলাপ-আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
হাসিনা চান সংসদে আলোচনা
জাতিসংঘ বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মহাসচিবের ফোনালাপের কোনো খুঁটিনাটি প্রকাশ করেনি৷ তবে বাংলাদেশের একাধিক দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী হাসিনা ‘‘জাতিসংঘের প্রধানকে জানিয়েছেন যে, তিনি সংবিধান অনুযায়ী সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করছেন৷’’ বিরোধীপক্ষ যদি গোটা প্রসঙ্গটি সংসদে আলোচনা করার কোনো প্রস্তাব দেয়, তবে তিনি তাকে স্বাগত জানাবেন, এমন আভাসও দিয়েছেন হাসিনা৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনে বিএনপির ‘না’
বান কি-মুনের সঙ্গে ফোনালাপে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াও সংকট সমাধানে সংলাপের সপক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন, কিন্তু এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ‘‘বিরোধীপক্ষ আওয়ামী লীগ সরকারের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না৷’’
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি ও কেন?
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল কাজ হলো মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা৷ ১৯৯১ সালে এই পদ্ধতি চালু করা হয় কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেই পদ্ধতি বাতিল করে৷ বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী পক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছে৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
জার্মানি সংলাপ সমর্থন করে
সংলাপকে বাংলাদেশের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক জোটের মধ্যে অচলাবস্থা নিরসনের একমাত্র পন্থা বলে মনে করে জার্মানি৷ ‘ঢাকা কুরিয়ার’ নামক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. আলব্রেশট কনৎসে বলেছেন, ‘‘দু’টি মুখ্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপ হলো বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা সমাধানের একমাত্র পথ৷’’
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ডাক দিলেন
বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস একটি ‘‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ (নির্বাচনকালীন) সরকার’’ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য সমর্থন ব্যক্ত করেছেন৷ গত ২২ আগস্ট ইউনূস একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘নির্বাচন অতি অবশ্য হওয়া উচিত এবং তা একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হওয়া উচিত৷’’
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)
হাসিনা সরকারের সৃষ্ট আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বা আইসিটি-র উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার৷ কিন্তু তা শাসকদল এবং বিরোধীপক্ষের মধ্যে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ আইসিটি এখন পর্যন্ত ছ’জন অভিযুক্তকে শাস্তি দিয়েছে৷ বিরোধীপক্ষ এই বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়েছে৷ তাদের মতে এই প্রক্রিয়ার বাস্তবিক উদ্দেশ্য ন্যায়বিচার নয়, পুরাতন শত্রুতার প্রতিশোধ৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
আন্তর্জাতিক সমালোচনা
হিউম্যান রাইটস ওয়াচও আইসিটি-র সমালোচনা করেছে৷ এইচআরডাব্লিউ বিবৃতিতে বলেছে, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক প্রধান গোলাম আযমের বিচার প্রক্রিয়া ‘‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ’’ ছিল৷ প্রতিক্রিয়া হিসেব সরকারি কৌঁসুলির তরফ থেকে এইচআরডাব্লিউ-এর বিরুদ্ধে আদালতের অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এইচআরডাব্লিউ-এর ‘‘একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’’ রয়েছে৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
ট্র্যাক রেকর্ড
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে৷ বিদ্যুৎ উৎপাদন কিংবা কৃষি খাতে সরকারের সাফল্যের খতিয়ান যাই হোক না কেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর হাসিনা সরকারের অন্য সব সাফল্য ঐ একটি কেলেঙ্কারির আড়ালে ধামাচাপা পড়ে গেছে৷ আগামী নির্বাচনেও পদ্মা সেতু প্রকল্প প্রসঙ্গটি প্রভাব ফেলতে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম / এসি
জাহাঙ্গীর খান মামুন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে জানিয়েছেন, সাড়ে সাত কোটি বাঙালির হে মুগ্ধ জননী রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করোনি৷ রবি ঠাকুর সঠিক বলেছিলেন, হে এমন জাতি যে তাকে যতো ঠেঙাবে সে তার পিছে ততো দৌড়াবে৷ রাজাকাররা পাকিস্থানকে ভুলতে পারে না, কেউ কেউ এখনো ব্রিটিশ শাসনকে ভাল শাসন মনে করেন আর এই বাঙালি জাতি জমায়াত, জাতীয় পাটি, বিএনপি, আওয়ামী লীগকে ভুলতে পারলো না৷ আসলে আমরা প্রভুভক্ত বাঙালি৷ যতোই ঠ্যাঙানি দিবে ততোই তোমার পিছে দৌড়াবে৷''মোস্তাফিজুর রহমান, জাভেদ রহমান, আবুল হাসান, হাসান জিন্নাহ চারজনই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত৷
তোমার আমার ঠিকানার মত, ‘‘প্রতিদিন মানুষ মরছে৷ অবরোধের আগুনে পুড়িয়ে দেশ ছারখার করা হচ্ছে৷ রংপুরে বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারা হোল৷ সরকার শুধু বলছে কঠোর ব্যবস্থা নিবে, কোথায়? মানুষের আর্তনাদ বলে দেয় জরুরি আইন জারি ছাড়া দেশ ধ্বংস কারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য আর কোনো বিকল্প নেই৷''
তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, ‘‘ঘরে বসেও আতঙ্কে থাকি,,ইদানীং পুলিশ ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে৷ আবার জামাত শিবির বলে গুলে করে লাশ হারিয়ে ফেলার হুমকি দেয়৷ আমার একটা বড় দুঃখ, সরকারকে প্রশ্ন করেও কখনো উত্তর পেলাম না৷''
সৈয়দ সানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সত্যি বলতে রাত নামলেই বাসে উঠতেই ভয় লাগে৷ আর দেশ যেখানে ভালোই এগিয়ে চলছে সেখানে বিএনপি র অযথা ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ এর বলি হচ্ছি আমরা৷
রেজাউল হাসান লিখেছেন, ‘‘আতঙ্ক নিয়ে চলা ফেরা করি সবাই৷ কখন কে কোন বিপদে পড়ি ....৷''
বাপি সাঈদের সোজা উত্তর , ‘হ্যাঁ আমি আতঙ্কিত৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন